অর্ণব আইচ: লকডাউনে (Lockdown) চাকরি হারিয়ে পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছিলেন যুবক। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ থেকে হয়ে উঠেছিলেন প্লাস্টিকের ব্যাগ সরবরাহকারী। কিন্তু তাতে মেটেনি আর্থিক সমস্যা। বুধবার বাড়ির ভিতরই আত্মঘাতী (Suicide) হলেন যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ শহরতলির বেহালায় ঘটেছে এই ঘটনাটি।
মৃত যুবকের নাম ভাস্কর রায় (৩৮)। বেহালার বি এল সাহা রোডের একটি বাড়ির একতলার বাসিন্দা ওই যুবকের কোনও সাড়া পাওয়া যচ্ছিল না। তাঁর স্ত্রী প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজা ভেঙে দেখতে পান যে, সিলিং থেকে গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন ওই যুবক। বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরিবারের লোকেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ ভাস্কর গত বছর লকডাউনে চাকরি হারান। লকডাউনের পর তিনি নতুন করে কোনও চাকরি পাননি। তাই পেশা পালটে প্লাস্টিক ব্যাগ সরবরাহ করার ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু তাতেও সংসারের অভাব মেটেনি। তার ফলে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন। হতাশার জেরেই তিনি আত্মঘাতী হন বলে ধারণা পুলিশের।
[আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসার ওষুধ ও সরঞ্জামে GST মকুবের দাবিতে রাজ্য সরকারকে সমর্থন বামফ্রন্টেরও]
এদিনই মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হলেন আরও এক যুবক। পূর্ব কলকাতার বেলেঘাটায় ঘটল এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (৩০)। তিনি বেলেঘাটার এস কে সর্বাধিকারী লেনের বাসিন্দা। সাংসারিক গোলমালের কারণে তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। এদিন তাঁকে বাড়ির ভিতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে সাংসারিক গোলমালের বিষয়টিই উল্লেখ করা আছে। অন্যদিকে, এদিন পূর্ব কলকাতার তিলজলা থানা এলাকার তপসিয়া রোডের ‘ছাপান্ন তালাও’ নামে একটি পুকুরে তলিয়ে যান শেখ মুস্তাক (৫৫) নামে ওই এলাকারই এক বাসিন্দা। এলাকার বাসিন্দারা উদ্ধার করে তাঁকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পা পিছলে তিনি পুকুরে পড়ে যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।