বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: বউভাতের দিন আত্মঘাতী যুবক। নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার গাছা গ্রামে নেমেছে শোকের ছায়া। শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। কী কারণে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ওই যুবক, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মৃত ওই যুবকের নাম অসিত ঘোষ। বছর সাতাশের ওই যুবকের গাছা গ্রামেই বাড়ি। কাঠের মিলে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার অসিত ঘোষের বিয়ে হয়েছিল। স্ত্রীর বাপের বাড়ি বেথুয়াডহরি। বিয়ের পর নববধূকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন অসিত ঘোষ। শনিবার ছিল তাঁর বউভাত। ওইদিন বিকেলে অসিত আচমকাই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। বাড়ির লোকজন চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে চাষের জমির পাশেই রয়েছে একটি বাগান। সেই বাগানে একটি গাছের সঙ্গে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় অসিত ঘোষের দেহ উদ্ধার হয়। বউভাতের দিন কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করলেন, তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না তার বাড়ির লোকজন।
[আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্সি জেলে খাট পেলেন পার্থ, মেঝেতে শুয়েই রাত কাটল অর্পিতার]
অসিত ঘোষের দাদা অমর ঘোষ বলেন, “বউভাতের দিন বিকেলে আমরা সকলেই কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমিও কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ছিলাম না বাড়িতে। বাড়ি ফিরে দেখি সবাই কান্নাকাটি করছেন। তারপর আমি কারণ জানতে পারি। কান্নাকাটির কারণ জানার পর আমি মাঠের দিকে যাই। গিয়ে দেখি অনেক লোকজন জড়ো হয়ে রয়েছেন। এরপর মাঠের পাশে একটি বাগানের মধ্যে গাছের সঙ্গে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আমার ভাইয়ের দেহ দেখতে পাই। আমার ভাইয়ের সঙ্গে কারোর কোন শত্রুতা ছিল বলে আমার জানা নেই। পারিবারিক কোন অশান্তিও ছিল না। কারও কাছে দেনাও ছিল না। তা সত্ত্বেও কেন বউভাতার দিন আমার ভাই এভাবে আত্মহত্যা করে বসল, তা আমরা কিছুতেই বুঝতে পারছি না।”
নববধূর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল কিনা, তা জানা যায়নি। বিয়ে নিয়ে মানসিক অবসাদে অসিত চরম সিদ্ধান্ত নিলেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোনও কারনে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়েই আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। যদিও আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ কী, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।