রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মহামারী কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে রাজ্য। এই ছন্দে ফেরার মাঝে রয়েছে বাগদেবীর আরাধনা। সবেমাত্র খোলা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-সহ পাড়ায় পাড়ায় হচ্ছে দেবী সরস্বতীর আরাধনা। এই দিনটিকে অন্যরকমভাবে উদযাপন করল বালটিকুরি সদানন্দ স্মৃতি সংঘ ক্লাব।
রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠন বাগদেবীর আরাধনায় মত্ত। পাড়ায়-পাড়ায় চলছে দেবী সরস্বতীর আরাধনা। এই জাঁকজমকের মাঝে রাতের অন্ধকারে নীরবে পাড়ার একদল যুবক ভবঘুরে ও ফুটপাতবাসীদের পাশে দাঁড়াল। চিকিৎসার দায়িত্ব নিল তাঁদের।
[আরও পড়ুন: একটানা Instagram করছেন? ‘টেক এ ব্রেক’ বলবে অ্যাপই, এল নতুন ফিচার]
চালচুলোহীন বহু মানুষের ঠিকানা পথ। ফুটপাতে শুয়েই দিন কাটে তাঁদের। কোনওদিন পেটে খাবার জোটে, কোনওদিন আবার শুধু জলপান করেই ভরে পেট। যাদের রোজ খাবার জোটে না, তাঁদের শরীর খারাপ হলে চিকিৎসা করানো তো দিবাস্বপ্ন। আর নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষাও যেন সোনার পাথরবাটি। তাই তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এল হাওড়া দাসনগরে বালটিকুরি সদানন্দ স্মৃতি সংঘের সদস্যরা। অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: লিভার ভাল রাখতে প্রয়োজন নেই ওষুধের, রোজ পাতে রাখুন এই খাবারগুলি]
রাস্তায় থাকা অসহায় মানুষজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করল দাসনগরে বালটিকুরি সদানন্দ স্মৃতি সংঘের সদস্যরা। ইসিজি-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হল। চিকিৎসকদের নিয়ে গিয়ে দাসনগর-সহ হাওড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় পথে থাকা মানুষজনদের জন্য শুধু স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। রাতের বেলা সকলের হাতে তুলে দেওয়া হল কম্বল। তাঁদের হাতে শুকনো খাবার, মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “সবাই সরস্বতী পুজোতে মেতেছে। আমরা তারই মধ্যে একটু অন্যরকম প্রচেষ্টা নিলাম।”