সম্যক খান, মেদিনীপুর: রাজমিস্ত্রি থেকে লটারি জিতে সোজা কোটিপতি (Crorepati)! ‘মিরাকল’ ঘটায় নিজেই থ লটারির কোটি টাকা পুরস্কারপ্রাপ্ত মেদিনীপুরের (West Midnapore)শিরোমনি গ্রামের বাসিন্দা শিশির নন্দী। ডাকাতির আশঙ্কায় তিনি নিরাপত্তা চেয়ে সোজা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। এমনকী এত বড় প্রাপ্তিতেও সংবাদমাধ্যমে নিজের ছবি তুলতে একেবারেই নারাজ শিশিরবাবু। পুলিশ অবশ্য সবরকম নিরাপত্তা দিয়ে তাঁর প্রাপ্ত টাকা ব্যাংকে পৌঁছে দিয়েছে।
স্রেফ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভাগ্য ঘুরে গিয়েছে পেশায় দিনমজুর শিশির নন্দীর। মেদিনীপুর সদর ব্লকের শিরোমনি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে যোগাড়ে হিসেবে কাজ করেই দিন গুজরান হয়। লটারি কাটার নেশা ছিল শিশিরবাবুর। অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার সন্ধেবেলাও তিনি একগোছা লটারির টিকিট কেটেছিলেন। আর তাতেই কেল্লা ফতে!
[আরও পড়ুন: একদিনে জলপাইগুড়ির সরকারি হাসপাতালে ৫ সদ্যোজাতর মৃত্যু! তদন্তের দাবিতে ধরনায় অভিভাবক]
শুক্রবার রাতেই ছিল খেলা। আর তাতেই দেখা যায়, লটারি (Lottery) জিতে কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। একদিকে যখন খুশির আনন্দ পরিবার, গ্রামে, সেসময় ডাকাতির আতঙ্কে ভুগতে থাকেন শিশির। কোনও সমাজবিরোধী তাঁদের উপর হামলা করতে পারে, এই আশঙ্কায় তাঁরা গ্রামবাসীদের পরামর্শে সপরিবারে কোতয়ালি থানায় পৌঁছে যান।
[আরও পড়ুন: বিপাকে মধ্যবিত্ত, রাজ্য সরকারের বিনামূল্যের তালিকা থেকে বাদ বেশকিছু ওষুধ]
কোটিপতি শিশিরবাবুর বাবা শক্তি নন্দী বলেছেন, ”এত টাকার হিসেব আমরা জানি না। রাতে যখন বিষয়টি শুনলাম, তখন আর ঘরে থাকার সাহস পাইনি। এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে থানায় চলে আসি।” ভাগ্য বদলের দিনে খুশির জোয়ারে ভাসলেও কাঁটা বিঁধে ছিল। কিন্তু থানায় পৌঁছে অনেকটাই স্বস্তিবোধ করছেন তিনি। পুলিশ আধিকারিকরা নিরাপত্তা-সহ সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। শক্তিবাবু জানাচ্ছেন, তাঁদের পরিবারের কোনও জমিজায়গা নেই। দিনমজুর খেটেই দিন কাটে। লটারি থেকে পাওয়া টাকায় বিঘা চারেক জমি কেনার ইচ্ছে আছে তাঁদের। সেই জমিকে চাষ করে দিনযাপন করতে চান শিশিরবাবুরা। পাশাপাশি গ্রামে একটি বাড়িও বানাতে চান।