সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগেই নয়ডার এক যুবকের রাতজাগা দৌড় ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। ওই যুবক সেনায় চাকরি পেতে রাতে অনুশীলন করতেন। প্রতিদিন কর্মস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দৌড়ে বাড়ি ফিরতেন। ফের সেনায় চাকরি পেতে এক যুবকের প্রাণপন দৌড়ের ঘটনা সামনে এল। যেখানে প্রকট বেকারত্বের যন্ত্রণা! দিল্লিতে (Delhi) চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ যোগ দিতে রাজস্থান (Rajasthan) থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দৌড়ে রাজধানীর যন্তর মন্তরের বিক্ষোভস্থলে পৌঁছলেন এক যুবক। ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সুরেশ নামের ওই যুবকের দৌড়।
সুরেশের অবিশ্বাস্য দৌড় বিক্ষোভকারীদের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে গোটা দেশে। আসলে নিয়োগে বিলম্বের অভিযোগে রাজধানী দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ওই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে হয় রাজস্থানের নাগাউর জেলার বাসিন্দা বছর ২৪-এর সুরেশেরও। তাঁর স্বপ্ন ভারতীয় সেনার চাকরিতে যোগ দেওয়া। কিন্তু গত দু’বছর ধরে নিয়োগ বন্ধ। এর প্রতিবাদেই বিক্ষোভ যোগ দেন সুরেশ। তবে অভিনব উপায়ে। যাতে করে তাঁর মতো কর্মহীনদের বার্তা পৌঁছে যায় গোটা দেশে। ঠিক কী করছেন সুরেশ?
[আরও পড়ুন: ‘ভারত শান্তির পক্ষে, এখনই বন্ধ হোক যুদ্ধ’, ইউক্রেন-রাশিয়া নিয়ে লোকসভায় বিবৃতি বিদেশমন্ত্রীর]
তিনি রাজস্থনের সিকার থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরের বিক্ষোভস্থলে দৌড়ে পৌঁছান। যে দূরত্ব ৩৫০ কিলোমিটার। যাতে সময় লেগেছে ৫০ ঘণ্টা। সুরেশ জানিয়েছেন, তিনি প্রতিদিন ভোর ৪টেয় দৌড় শুরু করতেন। সকাল ১১টা কোনও পেট্রল পাম্পে থামতেন। বিশ্রাম নিতেন এবং আবার দৌড়। যুবক জানিয়েছেন, তাঁর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করত তাঁরই মতো চাকরিপ্রার্থী যুবকরা।
বছর ২৪-এর সুরেশ জানিয়েছেন, কিন্তু গত দু’বছর ধরে সেনায় নিয়োগ বন্ধ থাকায় তাঁর মতো বহু যুবক ভাল নেই। এদিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স বেড়ে যাচ্ছে তাঁদের। সুরেশ বলেন, “নাগাউর, সিকার, ঝুনুঝুনুর তরুণদের বয়স হয়ে যাচ্ছে। যুবকদের মনোবল যাতে ভেঙে না পড়ে, সে জন্যই আমি দৌড়ে দিল্লি এসেছি।”
[আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে ‘পণের সুফল’ ঘিরে বিতর্কের জের, বাজার থেকে বই তুলে নেওয়ার ঘোষণা প্রকাশকের]
সুরেশের এই কাণ্ডে একদিকে যেমন বহু যুবক অনুপ্রাণিত হয়েছেন। অন্যদিকে তেমনই ভেসে উঠেছে দেশের বেকারত্বের সমস্যা। কোভিডের কারণে বেসরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ নেই বললেই চলে, বরং কাজ হারিয়েছেন ও হারাচ্ছেন বহু যুবক। অন্যদিকে সরকারি ক্ষেত্রেও যদি এভাবে নিয়োগ বন্ধ থাকে, তবে কী করবেন সুরেশের মতো অসংখ্য চাকরিপ্রার্থীরা? উঠছে প্রশ্ন।