সংবাদ প্রতিদিন ডিডিটাল ডেস্ক: জয়নগরের পর ডায়মন্ড হারবার। তৃণমূল নেতা খুনের তিনদিনের মাথায় ফের শুটআউট। ভাইফোঁটার দিন দিদির শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে প্রাণ গেল ভাইয়ের। পলাতক দিদির শ্বশুরবাড়ির দুজন। পুলিশ তাদের খোঁজে তল্লাশি করছে।
নিহত মিঠুন সর্দার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারেরই বাসিন্দা। তাঁর দিদির শ্বশুরবাড়ি ডায়মন্ড হারবারের সাতঘড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে জামাইবাবু জগন্নাথ মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর দুই ভাই পরেশ ও অজয়ের একটি জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। বুধবার সে বিবাদ চরমে পৌঁছয়। সকাল থেকেই শুরু হয় গালিগালাজ। বেলা যত বাড়তে থাকে, ততই অশান্তিও তুমুল আকার নেয়। অভিযোগ, সন্ধের দিকে ওই বিতর্কিত জমি ঘেরা পাঁচিল ভাঙার চেষ্টা করে পরেশ ও অজয়। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মিঠুনের ভাগ্নি ও দিদি। তাঁরাই ফোনে অশান্তির কথা জানায়।
[আরও পড়ুন: কোলে বসিয়ে মোবাইল চার্জ, বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন অণ্ডকোষ]
একথা শোনার পর দিদির শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন মিঠুন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আরও এক ভগ্নীপতি। যাওয়ার পর পরেশ এবং অজয় তাদের ভাইয়ের স্ত্রীর বাপের বাড়ির লোকজনকে টার্গেট করে। অভিযোগ, তাঁদের লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। কিছু বুঝে ওঠার আগে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। একটি গুলি মিঠুনের বুকে লাগে। এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায় গুলি।
রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন মিঠুন। সংজ্ঞা হারান। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। প্রাণ যায় যুবকের। এই ঘটনার পর থেকে পরেশ ও অজয় মণ্ডল পলাতক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।