বাবুল হক, মালদহ: ফের শিরোনামে গণপিটুনিতে (Mob Lynching) মৃত্যু। চোর সন্দেহে গণপ্রহারে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের (Maldah) রতুয়া থানার দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পশ্চিমপাড়ায়।
জানা গিয়েছে, আমবাগানে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তিন যুবককে ধরে গনপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে একজনের। চোর সন্দেহে ওই যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে বাসিন্দাদের একাংশের বিরুদ্ধে। এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
[আরও পড়ুন: Corona Virus: করোনা কালে মনিবের আয় বন্ধ, কার্যত অনাহারে কলকাতায় মৃত্যু ৫ ঘোড়ার]
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে তিন যুবককে পশ্চিমপাড়ার একটি আমবাগানে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পাহারাদারের সন্দেহ হয়। তাঁর চিৎকারে বাসিন্দাদের একাংশ ছুটে এসে তিনজনকেই ধরে ফেলে। তারপর চোর সন্দেহে তিনজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে একজন কোনওক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতেই রতুয়া থানার পুলিশ দেবীপুরের পশ্চিমপাড়ায় পৌছয়। গণপিটুনির কবল থেকে পুলিশ দু’জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত যুবকের নাম শেখ ঘিসু (৩৬)। আহত যুবক শেখ সওদাগরের চিকিৎসা চলছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আহত যুবকের দাবি, তিন বন্ধু মিলে আমবাগানের কাছে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। সেই সময় তাঁদের উপর চড়াও হন গ্রামবাসীরা। জনরোষের কবল থেকে পালিয়ে রক্ষা পান শেখ সাজ্জাদ নামে আরেক যুবক। তিনজনেরই বাড়ি রতুয়ার দেবীপুর এলাকার পশ্চিমপাড়ায়। আহত যুবকের দাবি, তাঁরা চুরি করতে সেখানে যাননি। কোনও কথা শোনার আগেই চোর সন্দেহে তাঁদের মারধর শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তবে রাতে কেন সেখানে দাঁড়িয়েছিল ওই তিন যুবক? সে বিষয়ে রতুয়া থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।