রঞ্জন মহাপাত্র: বছর ছয়েক আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) চড় মারার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই যুবকের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে (Tamluk)। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম দেবাশিস আচার্য। তাঁর এক বন্ধু জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধেয় একসঙ্গেই ছিলেন তাঁরা। হঠাৎ একজনের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে চলে যান দেবাশিস। দ্রুত ফিরে আসবে বললেও আসেননি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে যে যার বাড়ি ফিরে যান। এরপর গোটা রাত পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি দেবাশিস। বৃহস্পতিবার সকালে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের সোনাপাটিয়া টোল প্লাজার কিছুটা দূরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই যুবক। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। তাঁর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: অসম থেকে বাংলায় আসছে ২০টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, বিনিময়ে রাজ্য দেবে বাইসন, গণ্ডার, হাতি]
এই ঘটনার পর্যাপ্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার কথায়, “অনুমান করা হচ্ছে খুন করা হয়েছে। কে এই ঘটনার পিছনে রয়েছে। কী কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে। আদৌ খুন কি না, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।” খুন প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি ও মৃতার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল (TMC)। যদিও প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছেন, সম্ভবত দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই স্পষ্ট হবে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৫ জুলাই চণ্ডীপুরে সভা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সময় যুব নেতার সঙ্গে ছবি তোলার নাম করে মঞ্চে উঠে অভিষেককে চড় মেরেছিলেন ওই যুবক। আচরণের জন্য দেবাশিস ও তাঁর বাবা-মা ক্ষমাও চেয়েছিলেন।