সৌরভ মাজি, বর্ধমান: প্রেমিকার বাড়ির উঠোন থেকে উদ্ধার যুবকের ঝুলন্ত দেহ। মৃতের বাবা প্রেমিকা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ নিহতের প্রেমিকা-সহ তার পরিবারের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মেমারি শহরের পারিজাত নগর এলাকার বাসিন্দা শুভ শীল। তাঁর বাবা অশোক শীল জানান, তাঁর ছেলের সঙ্গে শহর সংলগ্ন উদয়পল্লি দক্ষিণপার বেলতলার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতও ছিল শুভর। গত মঙ্গলবার শুভ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তবে রাতে বাড়ি ফেরেননি। অশোকবাবু কোনও খোঁজ পাননি ছেলের।
[আরও পড়ুন: বিমান-সূর্যদের বিদায়! সিপিএমের পরবর্তী রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম]
তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান। বেশ কিছুক্ষণ পর প্রিয়াঙ্কাদের বাড়ি থেকে শুভর মায়ের কাছে ফোন যায়। তিনি জানান, শুভ আত্মহত্যা করেছেন। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে যায়। তরুণীর বাড়ির উঠোনের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় শুভকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শুভকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকেরা।
নিহত যুবকের বাবা অশোকবাবু বলেন, “শুভকে প্রিয়াঙ্কার পরিবারের লোকজন মানতে চাননি। নানাভাবে চাপ দেওয়া হত। এমনকি খুনের হুমকিও দেওয়া হত। প্রিয়াঙ্কা ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পনা করে আমার ছেলেকে খুন করেছে।” পুলিশ জানায়, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পেশ করা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা ও তার দাদাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদিও নিহতের প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা কীর্তনিয়া, তার বাবা সুনীল কীর্তনিয়া, মা জয়মালা কীর্তনিয়া ও দাদা রাজীব কীর্তনিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। এদিন আদালতে পেশ করার সময় প্রিয়াঙ্কা দাবি করেন, তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে।