অর্ণব দাস, বারাসত: নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি (Heavy Rain)। আর তাতেই জল থইথই গোটা এলাকা। আর এই জল জমার কারণে লক্ষ্মী পুজোয় বিপত্তি। জল ডিঙিয়ে পুজো করতে আসতে চাইছেন না পুরোহিতরা। এতেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে অশোকনগর পুরসভার ৯, ১৭ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের শতাধিক পরিবারকে। সমস্যার কথা জানাজানি হতেই মঙ্গলবার দুপুরে জলমগ্ন এলাকায় যান স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতারা। জল যন্ত্রণায় পড়া এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁরা কথা বলেন পুরোহিতদের সঙ্গেও। জানা গিয়েছে, টোটো এবং বাইকে করে পুরোহিতদের আনার ব্যবস্থা করেছেন যুব তৃণমূল নেতারা। জল নিষ্কাশন প্রসঙ্গে বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, “জেলা শাসক এবং আরবান ডেভেলপমেন্ট আধিকারিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত জল নিষ্কাশন করা যাবে।”
আশকনগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তরুণপল্লি, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎনগর এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়া ও ধানকল এলাকা অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা। তাই অল্প বৃষ্টিতেই এই এলাকাগুলিতে জল জমে সমস্যায় পড়তে হয় বাসিন্দাদের। নিম্নচাপের জেরে শেষ দু’দিনের বৃষ্টিতেও জল জমে সমস্যায় পড়তে হয়েছে শতাধিক পরিবারকে। রাস্তার হাঁটু জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। এবার এই জমা জলেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মী পুজোয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জল ডিঙিয়ে পুজো করতে আসতে চাইছেন না পুরোহিতরা। ফলে লক্ষ্মীপুজো (Laxmi Pujo) নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত দাস বলেন, “ঘরে জল না জমলেও, রাস্তায় জল রয়েছে। তাই পুরোহিতরা পুজো করতে আসতে চাইছে না।” স্থানীয় বাসিন্দা বিজলী দাসের কথায়, “বৃষ্টির মধ্যেও আমরা লক্ষ্মী ঠাকুর কিনে বাজার করে রেখেছি পুজো করব বলে। কিন্তু রাস্তায় জল থাকায় পুরোহিতরা বলছে পুজো করতে আসতে পারবে না।”
[আরও পড়ুন: Weather Update: লক্ষ্মীপুজোর পরই রাজ্যে শীতের আগমন, স্বস্তির খবর দিল হাওয়া অফিস]
মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুজো নিয়ে এই অনিশ্চয়তার কথা জানাজানি হতেই জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে যান স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতারা। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলার পর যুবনেতা কথা বলেন পুরোহিতদের সঙ্গে। এ বিষয়ে স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা বাপাই ঘোষ বলেন, “ইতিমধ্যেই আমরা কয়েকজন পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি তাদের রাজি করিয়ে পুজো করাতে পারব। জমা জল লক্ষ্মীপুজোর ক্ষেত্রে বাধা হবে না।”
অশোকনগর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ সিং বলেন, “ওই এলাকাগুলিতে পুরোহিতদের নিয়ে যাওয়ার জন্য টোটো এবং বাইকের ব্যবস্থা করেছি। পুরোহিতের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। তারা রাজি হলেই আমরা তাদের নিয়ে টোটো এবং বাইকে করে পুজো দিতে নিয়ে যাব।” যদিও জলমগ্ন এলাকাগুলিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনও পুরোহিত পুজো করেননি বলে জানা গিয়েছে।