সুমন করাতি, হুগলি: রাজ্যের বাম সরকার পতনের ক্ষেত্রে অন্যতম ছিল সিঙ্গুর আন্দোলন। সেসময় রাজ্যের বিরোধী মুখ ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী হওয়ার পর সিঙ্গুরের বাসিন্দাদের জন্য দুটি লোকাল ট্রেন উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। এবার সেই দুটি ট্রেন তুলে নেওয়া হল? সিঙ্গুরের মানুষদের প্রতি বৈমাত্রেয়সুলভ আচরণ করছে রেল দপ্তর? সেই অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না।
আজ মঙ্গলবার সিঙ্গুরের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি অবস্থান-বিক্ষোভ করা হয়। মন্ত্রী-সহ অন্যান্য স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সেখানে উপস্থতি ছিলেন। মন্ত্রী এদিন দাবি করেছেন, "কোনওভাবেই এই ট্রেন তুলে নেওয়া যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই ট্রেন চালু করে নাম দিয়েছিলেন সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল।" সিঙ্গুরের ইতিহাসের সঙ্গেও এই দুটি ট্রেন জড়িয়ে আছে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতৃত্ব।
সিঙ্গুরের বিধায়ক জানান, সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল চলবে তারকেশ্বর পর্যন্ত। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী কাল ১ জানুয়ারি থেকে এই ট্রেন সিঙ্গুর থেকে চলাচল করবে না। সেই ট্রেন রুট বাড়ানো হয়েছে। তাই নিয়েই আপত্তি তোলা হয়েছে নেতৃত্বের তরফে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সিঙ্গুর জনবহুল এলাকা। আশপাশের ৫২টি গ্রামের মানুষ এই স্টেশন ব্যবহার করেন। আন্দোলন লোকাল ধরেও যাতায়াত করেন বহু নিত্রযাত্রী। এখন সিঙ্গুর থেকে ট্রেন না চললে অনেক যাত্রীই সমস্যায় পড়বেন। শুধু তাই নয়, দুটি ট্রেনের রুটই আরও বাড়ানো হয়েছে। তারকেশ্বর ও হরিপাল থেকে ট্রেন দুটি এখন হাওড়া যাবে। ফলে ওই দুই ট্রেনে যথেষ্ঠ ভিড়ও হবে। সিঙ্গুর থেকে কত যাত্রী স্বচ্ছন্দে ট্রেনে উঠতে পারবেন? সেই প্রশ্নও উঠছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, "যাত্রীদের চাহিদা আছে। সেই অনুযায়ী দুটি সিঙ্গুর লোকালের একটি তারকেশ্বর থেকে ও একটি হরিপাল থেকে চলবে।তাতে সিঙ্গুরের যাত্রীদেরও সুবিধা হবে।ট্রেন তুলে নেওয়া হয়নি।"