সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীত আসার আগেই যুদ্ধ শেষ করে দিতে হবে, এমনটাই জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জি-৭ বৈঠকে ভারচুয়ালি ভাষণ দিয়েছেন জেলেনস্কি। সেখানে তিনি দাবি তুলেছেন, আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক রাশিয়ার উপরে। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলির কাছে তিনি আবেদন করেছেন, আরও যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করা হোক।
ইতিমধ্যেই মারিওপোলের পরে আরেকটি বড় শহর সেভেরদোনেৎস্ক দখল করে নিয়েছে রাশিয়া (Russia-Ukraine War)। বেশ কিছুদিন ধরেই ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের তরফে বলা হচ্ছিল, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে নয়া নাৎসিদের হঠানোই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। যত দিন গড়াচ্ছে,ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে রুশ সেনা। সেই প্রসঙ্গে পশ্চিমি দেশগুলির উদ্দেশ্যে কড়া বার্তাও দিয়েছিলেন জেলেনস্কি। যুদ্ধাস্ত্র পাঠাতে অহেতুক দেরি করছে কিছু দেশ, এমন দাবি করেছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: আর্থিক সংকটে শ্রীলঙ্কা, সস্তায় তেল কিনতে রাশিয়ার পথে দ্বীপরাষ্ট্রের দুই মন্ত্রী]
তবে জি-৭এর মঞ্চে সেইভাবে আক্রমণাত্মক ভাবে বার্তা দেননি জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। কিন্তু বলেছেন, সদস্য দেশগুলির উচিত ইউক্রেনকে প্রচুর সাহায্য করা, যেন শীতকাল আসার আগেই এই ভয়াবহ যুদ্ধ শেষ হয়। কারণ শীতকালে অধিকাংশ সময়েই ইউক্রেনের তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের নীচে। ফলে প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে জেলেনস্কিকে। এমনিতেই দেশের পূর্ব দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। এর পর ঠাণ্ডা বাড়লে ঘর গরম রাখতে না পেরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবে দেশের সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে রেল লাইন আটকে পড়ার ফলে রসদ আনা যাবে না। এই সুযোগে রুশ সেনাবাহিনী ইউক্রেনে ঢুকে পড়তে পারবে।
সেই সঙ্গে জেলেনস্কির আশা, ইউরোপীয় দেশগুলি আরও বেশি যুদ্ধাস্ত্র পাঠাবে। আর্থিকভাবেও রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে চান জেলেনস্কি। সেই জন্য জি-৭ সদস্যদের (G-7) কাছে তাঁর আবেদন, আরও বেশি করে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক পুতিনের দেশের উপরে। প্রসঙ্গত, রাশিয়া থেকে সোনা আমাদানি করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিদিন ধরে যুদ্ধ চালানো সম্ভব নয় রাশিয়া বিরোধী দেশগুলির পক্ষে। ইউক্রেনকে সাহায্য করতে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশগুলি। তার প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। সেই কারণে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে জনমানসে। চলতি সপ্তাহেই ন্যাটোর বৈঠকেও ভাষণ দেবেন জেলেনস্কি। কিন্তু কবে যুদ্ধ থামবে, জানা নেই কারোরই।