shono
Advertisement

Russia-Ukraine War: সুর নরম করে ন্যাটোয় যোগের দাবি ছাড়লেন জেলেনস্কি! এবার কি থামবে যুদ্ধ?

জেলেনস্কির কথায় ন্যাটোর প্রতি কটাক্ষের আভাস।
Posted: 09:07 AM Mar 09, 2022Updated: 09:07 AM Mar 09, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারো দিনের যুদ্ধশেষে (Russia-Ukraine War) বিধ্বস্ত দেশের পরিস্থিতি দেখে প্রেসিডেন্ট কি রণক্লান্ত? মঙ্গলবার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির কথার সুরে তেমনই আভাস। ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট জানালেন, আলোচনায় বসার জন‌্য দরজা খুলে রেখেছেন তিনি। এমনকী, ন‌্যাটো গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার জন‌্য যে উৎসাহ তাঁর দেশ দেখিয়েছিল তা থেকেও আপাতত পিছিয়ে আসছেন তাঁরা। সমঝোতা হতে পারে ডনবাস এলাকা নিয়েও।

Advertisement

জেলেনস্কির দেশের ন‌্যাটো-ভুক্ত হওয়ার জন‌্য ‘ইচ্ছাপ্রকাশ’-ই অন‌্যতম প্রধান ও স্পর্শকাতর কারণ ছিল ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণের। তবে মঙ্গলবার জেলেনস্কি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি এবং তাঁর দেশ ন‌্যাটোভুক্ত হওয়ার দাবি ছেড়ে সরে আসছে।

[আরও পড়ুন: রাশিয়ার থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি বন্ধ করল আমেরিকা, বড় ঘোষণা বাইডেনের]

অপরদিকে, মস্কোর ইচ্ছায় সায় দিয়ে ইউক্রেনের পূর্বপ্রান্তের লুহানস্ক এবং ডনেৎস অঞ্চল, যা প্রধানত দেশের ভিতর ‘রুশ বিদ্রোহী’-দের এলাকা হিসাবে পরিচিত, সেই ডনবাস অঞ্চল নিয়েও আলোচনা করতে সম্মতি দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ‌্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ইউক্রেনে হামলার আগে এই দুই অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ রুশ অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করে দেন।

এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করে জেলেনস্কি বলেন, ‘সিউডো রিপাবলিক’ রাশিয়া ছাড়া অন‌্য কোনও দেশই লুহানস্ক এবং ডনেৎস অঞ্চলকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয়নি। তবে এখন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টে বক্তব‌্য, “ন‌্যাটো ইউক্রেনকে গ্রহণ করার জন‌্য প্রস্তুত নয়। এই বিষয়টি বোঝার পরই আমি অনেকটাই শান্ত হয়ে গিয়েছি। ন‌্যাটো জোটও এখন আমাদের গ্রহণ করতে ভয় পাচ্ছে কারণ তারা রাশিয়ার সঙ্গে প্রত‌্যক্ষ শত্রুতায় যেতে চাইছে না।”

[আরও পড়ুন: ১৩ দিনে ছিন্নমূল ১৭ লক্ষ, মৃত অসংখ্য, জেনে নিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ]

জেলেনস্কির বক্তব‌্য, তিনি এমন একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হিসাবে পরিচিত হতে চান না, যারা হাঁটু মুড়ে বসে কোনও কিছুর জন‌্য ভিক্ষা চাইছে। এদিন জেলেনস্কি বলেন, “আমি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে কথা বলতে চাই। তবে লুহানস্ক এবং ডনেৎস অঞ্চলকে রাশিয়ার প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা করা নিয়েও আমরা কথা বলতেই পারি।”

রাশিয়া শুরু থেকেই ইউক্রেনের ন‌্যাটোতে যোগদান নিয়ে বিপরীত ও বিরুদ্ধে মনোভাব প্রকাশ করে আসছে। কারণ ঘরের পাশের প্রতিবেশী ইউক্রেনের ন‌্যাটোতে যোগদানকে মস্কো নিজের জন‌্য বড় হুঁশিয়ারি বলে মনে করছে। তবে কিয়েভের এই অবস্থান থেকে সরে আসার অর্থ, নিশ্চিতভাবেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধে যতি পড়ার ইঙ্গিত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement