সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশ প্রাণীবিজ্ঞানী অ্যাডাম ব্রিটোনকে দোষি সাব্যস্ত করেছে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ আদালত। ৬০টির বেশি কুকুরকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় ২৪৯ বছরের জেলের সাজা হতে চলেছে বিখ্যাত কুমির বিশেষজ্ঞের। যদিও আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন অ্যাডামের আইনজীবী। ওই দিন মক্কেলের পক্ষে অন্তিম রিপোর্ট প্রকাশ করবেন তিনি। তার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে আড়াইশো বছর কারাদণ্ডের সাজা শোনাবে আদালত।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অবলা প্রাণীর উপরে নৃশংস অপরাধের ঘটনা সামনে আসে। তখনই কুমির বিশেষজ্ঞ প্রাণীবিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, অসংখ্য কুকুরকে ধর্ষণ করে খুন করেছেন তিনি। আদালতে শুনানির সময় সরকারি কৌশলী দাবি করেন, যন্ত্রণাদায়ক যৌনতায় আসক্ত ছিলেন অ্যাডাম। প্রাণীবিজ্ঞানী বলেই পরিচিতরা তাঁর কাছে নিশ্চিন্তে পোষ্যকে রেখে বেড়াতে যেতেন। সেই সুযোগ কাজে লাগাতেন অ্যাডাম। কুকুরগুলোকে ধর্ষণ করতেন তিনি। যতক্ষণ না তাদের মৃত্যু হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত নির্যাতন চালাতেন। অন্য প্রদেশ বা শহরে থাকা পোষ্যের মালিকদের কুকুরের পুরনো ছবি পাঠাতেন। যদিও ততদিনে অ্যাডামের অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে সারমেয়টির।
[আরও পড়ুন: স্বামীর সঙ্গে অশান্তি, ৪ সন্তানকে নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ! প্রাণে বাঁচলেন মা, মৃত্যু খুদেদের]
অত্যাচার চালানোর জন্য একটি বড়সড় শিপিং কন্টেনারকে ব্যবহার করতেন অ্যাডাম। নিজেই যার নাম দিয়েছিলেন ‘যন্ত্রণা ঘর’। সেখানেই মাসের পর মাস অসংখ্য কুকুরকে ধর্ষণের আছিলায় খুন করেন প্রাণীবিজ্ঞানী। এমনকী পৈশাচিক ওই কাণ্ডের ভিডিও তুলে রাখতেন। শুনানির সময় আদালতে সেই ভিডিও চালানোর আগে কোর্ট রুম খালি করে দেন বিচারক। যেহেতু অনেকেই সেই পাশবিকতা সহ্য করতে পারবেন না।
[আরও পড়ুন: ফের হিংসার বলি মণিপুরে, এবার সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের হামলায় নিহত CRPF জওয়ান]
১৮ মাসে পাশবিক অত্যাচারে ৬০টির বেশি কুকুরকে হত্যার অভিযোগ ওঠে অ্যাডামের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয় ৬০টি। যাবতীয় অভিযোগ মেনে নিয়েছেন অ্যাডাম। যদিও মক্কলের মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা চলছে বলে যুক্তি দিয়েছেন আইনজীবী। অর্থাৎ সুস্থ মস্তিষ্কে তিনি একাজ করেননি বলেই দাবি তাঁর। এর পরেও অবশ্য পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার সবকটি মামলাতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অ্যাডাম। এই ঘটনাকে পশুদের প্রতি ভয়ংকর নিষ্ঠুরতার উদাহরণ বলেছেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার নজিরবিহীন এই মামলায় ২৪৯ বছরের সাজা পেতে চলেছেন প্রাণীবিজ্ঞানী।