সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের (Kings XI Punjab) বিরুদ্ধে নাটকীয় জয়ের চব্বিশ ঘণ্টা পরেও KKR শিবিরে টেনশনের চোরাস্রোত রয়েই যাচ্ছে। আন্দ্রে রাসেলের (Andre Russel) চোট নিয়ে যত না চিন্তা তার চেয়ে ঢের বেশি অস্বস্তি সুনীল নারিন (Sunil Narine) নিয়ে!
[আরও পড়ুন: জকোভিচকে হারিয়ে ফের ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন নাদাল, ছুঁলেন ফেডেরারের অনন্য রেকর্ডও]
সোমবার সন্ধ্যায় বিরাট কোহলিদের (Virat Kohli) বিরুদ্ধে শারজায় নামবে কেকেআর। কিন্তু সেই ম্যাচ নারিন আদৌ বল করবেন কি না, সেটা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। পাঞ্জাব ম্যাচ নারিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। নিয়ন অনুযায়ী আর একবার তাঁর বোলিং অ্যাকশন রিপোর্টেড হলে তাঁকে নির্বাসনের মুখে পড়তে হতে পারে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে, তাহলে কি কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক তাঁকে দিয়ে বোলিং করানোর ঝুঁকি নেবেন?
বলাবলি শুরু হয়ে গিয়েছে, সোমবার RCB’র বিরুদ্ধে নারিন যদি বোলিংও করেন, তাহলে কোথাও না কোথাও একটা ভয় কাজ করবেই। বলা হচ্ছে, তাঁকে বল করানো হবে কি না, সেটা সম্পূর্ণ ক্যাপ্টেন আর টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। এটাও বলাবলি চলছে, নারিনকে দিয়ে যদি বোলিং না করানো হয়, তাহলে তাঁকে খেলানো উচিত হবে না। কারণ এখনও পর্যন্ত একটা ম্যাচে রান করতে পারেননি। সেক্ষেত্রে তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে খেলানো হতে পারে।
এদিকে, পরবর্তীতে এই প্রসঙ্গে কেকেআরের তরফ থেকে সরকারি বিবৃতিও দেওয়া হয়। নারিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে টুর্নামেন্ট এতটা গড়ানোর পর কেন সন্দেহ প্রকাশ করা হল, সেই প্রশ্নও তোলা হয়। পাশাপাশি, আশাপ্রকাশও করা হয়, খুব শীঘ্রই হয়তো সমস্যা মিটেও যাবে।
[আরও পড়ুন: ধোনির ছোট্ট মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি, অবশেষে পুলিশের জালে গুজরাটের ‘নাবালক’]
নারিন নিয়ে চিন্তা মাঝে রাসেলের আপডেট কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে নাইট শিবিরকে। শনিবার লোকেশ রাহুলের ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন রাসেল। তবে খবর নিয়ে জানা গেল, রাসেল এখন অনেকটাই সুস্থ। কার্তিকরা আশা করছেন, আরসিবির বিরুদ্ধে তাঁকে পাওয়া যাবে। এমনিতে বিরাটদের বিরুদ্ধে কেকেআরের পরিসংখ্যান বেশ ভাল। শেষ দুটো ম্যাচ জিতে মোমেন্টামও রয়েছে। কিন্তু এসবের মধ্যে শাহরুখ খানের টিমে টেনশনের চোরাস্রোত একজনকে নিয়েই–সুনীল নারিন।
এদিকে, কেকেআরের বিরুদ্ধে নামার আগে দুটো জিনিস প্রচণ্ড স্বস্তিতে রাখবে আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। এক, নিজের ব্যাটিং ফর্ম। দুই, চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে টিমের পরিপূর্ণ পারফরম্যান্স।সিএসকের বিরুদ্ধে জেতার পর সেটা বলেও দিয়েছেন বিরাট। তবে শনিবার সিএসকের বিরুদ্ধে জয়টা এত সহজে হয়তো আসত না, যদি না বিরাটের ৫২ বলে ৯০ নঃআঃ-র ইনিংসটা থাকত। অথচ টুর্নামেন্টের প্রথম কয়েকটা ম্যাচে রান না পাওয়া নিয়ে প্রচুর চর্চা হচ্ছিল। বিরাট স্বীকার করে নিলেন, তিনি বাড়তি চাপ নিয়ে ফেলছিলেন। কেকেআর যুদ্ধের আগে কোহলি বলেছেন, “আমি অনেক বেশি কিছু করার চেষ্টা করছিলাম। বাড়তি চাপ নিয়ে ফেলছিলাম। ব্যাট-বলের থেকে ফোকাসটা সরে যাচ্ছিল। আসলে কী জানেন, বেশি দায়িত্বের কথা যদি ভাবতে থাকেন, সেটা অনেক সময় বোঝা হয়ে যায়। তখন একজন প্লেয়ার হিসাবে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারে না। টিমের সাফল্যের জন্য নিজের স্কিল অনুযায়ী খেলাটাও খুব জরুরি। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সুপার ওভারে জিততে গেলে আমাকে সব বল মারতে হত। না হলে হেরে যেতাম। ওই সুপার ওভার আমার মাইন্ডেসট বদল দেয়। তখন থেকেই আমি ট্রেনিং-ব্যাটিং উপভোগ করা শুরু করি।”