সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংক্রমণ রুখতে লকডাউন এবং কড়া বাধানিষেধের পথে হেঁটেছে দেশের একাধিক রাজ্য। মাস্ক ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে কড়াকড়ি অব্যাহত। অতিমারীর দাপটের কথা মাথায় রেখে একের পর এক পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। আর ধীরে ধীরে তারই সুফল মিলছে। কারণ ৫৬ দিনে শনিবার সর্বনিম্ন কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে সুস্থতার হারও।
এদিন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৫২৯ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে দৈনিক সংক্রমণ। তবে চলতি বছরই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও কোভিডবিধি মেনে এবং টিকাকরণের মাধ্যমে তা রুখে দেওয়া সম্ভব বলেই দাবি কেন্দ্রের। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৮৬ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৭৯। তবে ভোলবদলে এই ভাইরাস আরও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। তাই সংক্রমণ কমলেও ২৪ ঘণ্টায় অনেকটাই বাড়ল মৃতের সংখ্যা। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৩,৩৮০ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮২ জন।
[আরও পড়ুন: দেশেই রুশ টিকা স্পুটনিক ভি তৈরির অনুমতি পেল সেরাম ইনস্টিটিউট]
তবে মানুষ নতুন করে গৃহবন্দি হওয়ায় ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন মোট ১৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ২৪৮ জন। একটা সময় অ্যাকটিভ কেস বাড়তে থাকায় হাসপাতালে বেড সংকট, অক্সিজেন সংকটে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
সেই সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮৯৪ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৬৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৪৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন ২২ কোটি ৭৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ। নীতি আয়োগের তরফে জানানো হয়েছে, টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার নিরিখে আমেরিকাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। ভারতে ১৭.২ কোটি মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ২০ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪২১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।