সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের টানা দুদিন ধরে লাগাতার বর্ষণে দক্ষিণ তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) একাধিক জেলা জলের তলায়। বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। দুর্যোগের জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০। বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে দেওয়াল চাপা পড়ে। এর মধ্যেই উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের সাহায্যে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে দুর্গম অঞ্চলে। বানভাসি জেলাগুলিতে বন্ধ স্কুল-কলেজ।
তামিলনাড়ুর মুখ্যসচিব শিব দাস মিনা জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে তিরুনেলভেলি ও তুতিকোরিন জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েক জনের মত্যু হয়েছে পাঁচিলে ধস নেমে চাপা পড়ে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েও মৃত্যু হয়েছে কারও কারও। এদিকে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দুই দিনে তিরুনেলভেলি ও তুতিকোরিন জেলায় রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে রাস্তা, রেললাইন, ব্রিজ জলের তলায়। কার্যত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এইসঙ্গে জলের তলায় মাঠ মাঠ ফসল। এর ফলে বন্যা পরবর্তী সময়ে খাদ্যপণ্যের দাম মাত্রাছাড়া হওয়ার আশঙ্কা। এদিকে দুর্যোগের জেরে তিরুনেলভেলি এবং তেনকাসি জেলায় স্কুল ও কলেজে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। তুতিকোরিনেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে।
[আরও পড়ুন: দুর্যোগের তামিলনাড়ুতে মৃত বেড়ে ১০, বানভাসি জেলাগুলিতে বন্ধ স্কুল-কলেজ]
বন্যার প্রভাব পড়েছে ট্রেন চলাচলেও। প্লাবিত জেলাগুলির ভিতর দিয়ে যাতায়াত করা ট্রেনগুলিকে বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যেই লাগাতার উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে। তিনি আবেদন করেছেন, সাম্প্রতিক দুর্যোগকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করা হোক।