সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুনে বাঁদরের (Monkey) হামলায় গুজরাটে (Gujarat) মর্মান্তিক মৃত্যু ১০ বছরের এক কিশোরের। ধারাল নখের আঁচড়ে পেট ফুঁড়ে নাড়িভুড়ি বের করে ফেলে বাঁদরটি। কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে। জংলি বাঁদরের ওই দলটিকে ধরার জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গান্ধীনগরের সালকি গ্রামে মঙ্গলবার হামলা চালায় জংলি বাঁদরের একটি দল। গ্রামের মন্দির চত্বরে খেলছিল ১০ বছরের দীপক ঠাকুর। সেই সময় আচমকা তার উপর হামলে পড়ে বাঁদরের দলটি। কিছু বোঝার আগে ধারাল নখ দিয়ে দীপকের পেট ছিঁড়ে ফেলে একটি বাঁদর। যার ফলে কিশোরের ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদান্ত্র বাইরে বেরিয়ে আসে। স্থানীয়দের নজরে পড়তেই ছুটে এসে দীপককে উদ্ধার করেন তাঁরা। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই মৃত্যু হয় কিশোরের।
[আরও পড়ুন: দলে ‘তরুণ তুর্কি’র বড়ই অভাব! ‘ডিজিটাল সৈনিকে’র খোঁজে বঙ্গ সিপিএম]
পুলিশ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে এই নিয়ে তিনবার গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালাল জংলি বাঁদরের দল। কিশোরের ভয়ংকর মৃত্যুতে নড়চড়ে বসেছে বন দপ্তরও। দপ্তরের এক আধিকারিক বিশাল চৌধুরী জানিয়েছেন, বাঁদরের দলটিকে খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা চলছে। বিশাল বলেন, “গত সপ্তাহে দুটি লেঙ্গুরকে ধরা হয়েছে। আরেকটি লেঙ্গুরকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ৬ সংস্থার মাধ্যমে সাড়ে ৫০ কোটি পাচার বাকিবুরের, মালিক কারা? খুঁজছে ইডি]
চলতি বছরের শুরুতে খুনে বাঁদরের আতঙ্কে ভুগছিল মধ্যপ্রদেশের রাজগড়। দুসপ্তাহে মধ্যে অন্তত ২০ জনের উপর হামলা চালিয়েছিল বাঁদরটি। তার মাথার দাম রাখা হয়েছিল ২১ হাজার টাকা। শেষ পর্যন্ত খুনে প্রাণীটিকে খাঁচাবন্দি করতে সক্ষম হয় বন দপ্তরের লোকেরা।