সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারীর ভয়াবহ রূপ দেখেছে বিশ্ব। কিন্তু অচিরেই কি আরও ভয়ংঙ্কর বিপদ ঘনিয়ে আসবে মানব সভ্যতার দিকে? ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছেন বিজ্ঞানীরা। সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এর প্রকোপে। এই মুহূর্তে অতিমারীর দাপট ম্লান হলেও তার প্রভাব কিন্তু আজও অদৃশ্য নয়। এরই মধ্যে ফের নয়া আতঙ্কের কালো মেঘ দেখা গেল চিনে। একসময় চিনের ইউহান শহর থেকেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গিয়েছিল মারণ ভাইরাস। এবার সেদেশেই লোমশ প্রাণীদের শরীরে ১২৫ প্রকারের ভাইরাসের সন্ধান মিলল। যার মধ্যে ৩৬টি নতুন ভাইরাসও রয়েছে, যেগুলি বার্ড ফ্লু কিংবা করোনা ভাইরাসের মতো মানুষকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা রয়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ধরা পড়েছে এমনই ছবি।
সম্প্রতি 'নেচার' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত এক গবেষণাপত্র। ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৪৬১টি লোমশ প্রাণীর দেহ পরীক্ষা করেছিলেন গবেষকরা। এদের প্রত্যেকেই লোমশ প্রাণীদের খামারে থাকত। যাদের মধ্যে শিয়াল, রাকুন কুকুর, ইঁদুর ইত্যাদি প্রাণী রয়েছে। সকলেই অসুখে মারা গিয়েছিল। আর তাদের দেহেই বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন হেপাটাইটিস ই, জাপানিস এনকেফেলাইটিসের মতো জীবাণুদের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০টি বন্য পশুকেও। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ গবেষকদের।
[আরও পড়ুন: ‘না পোষালে ভারত ছাড়ুন’, উইকিপিডিয়াকে ‘ব্লক’ করার হুঁশিয়ারি আদালতের]
দেখা গিয়েছে লোমশ প্রাণীগুলির শরীরে মিলেছে ১২৫ ধরনের ভাইরাস! গবেষণাপত্রটির অন্য়তম লেখক ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এডওয়ার্ড হোমস জানাচ্ছেন, এবিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। যার মধ্যে ৩৬টি অজানা ভাইরাস যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে ৩৯টি ভাইরাস যারা মানবশরীরের জন্য বিপজ্জনক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে গত জুন ও জুলাই মাসে ৯০৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সব মিলিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন করে হানাদারি শুরু করেছে করোনার নয়া ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে ভয় ধরাচ্ছে নয়া গবেষণা।