সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৫ সালের শুরুতেই জানুয়ারিতে মহাজাগতিক নানা বিস্ময় অপেক্ষা করে রয়েছে মহাকাশপ্রেমীদের জন্য। উল্কাবৃষ্টি থেকে শুক্র-শনির সহাবস্থানের মতো নানা দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছেন তাঁরা। তবে এর মধ্যে অন্যতম 'নেকড়ে চাঁদ'।
বছরের শুরুতেই, ১৪ জানুয়ারি রাতের আকাশে দেখা যাবে 'নেকড়ে চাঁদ'কে। বছরের প্রথম পূর্ণিমা সেদিনই। আর সেদিনই দেখা মিলবে এই চাঁদের। কেন এই নাম? আসলে এই নামের পিছনে অন্যতম কারণ শীতকালের কুয়াশামাখা রাতে অতিকায় পূর্ণচন্দ্রকে সাক্ষী রেখে নেকড়ের তীক্ষ্ণস্বরের ডাকের চেনা দৃশ্যকল্প। উল্লেখ্য, নেকড়ের এই ধরনের ডাকের পিছনে রয়েছে নানা কারণ। সেটা অন্য নেকড়ের সঙ্গে যোগাযোগের জন্যই হোক কিংবা সামাজিক বন্ধন অথবা শিকারের পরিকল্পনা করা। কিন্তু দৃশ্যটার মধ্যে এমন ছমছমে ব্যাপার রয়েছে, যে তার গায়ে লেগে রয়েছে অতিপ্রাকৃতের রং। সেই নেকড়ের কথা মাথায় রেখে জানুয়ারির পূর্ণিমার এই চাঁদের নাম রাখা হয়েছে 'নেকড়ে চাঁদ'। বিভিন্ন সময়ে সুপার মুন, রেড মুন, পিঙ্ক মুন নামের নানা চাঁদের দেখা মেলে। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহকে এভাবেই বিভিন্ন সময়ে নানা নামে ডাকার প্রচলন রয়েছে পৃথিবী জুড়ে। এই নামকরণের পিছনের কারণগুলি বিচিত্র এবং কৌতূহলোদ্দীপক।
প্রসঙ্গত, এর পরদিন অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি সূর্যাস্তের পরে পূর্ব আকাশে খালি চোখেই দেখা যাবে ঝকঝকে মঙ্গলগ্রহকে। যে অস্ত যাবে ভোরবেলা। ততক্ষণ সবচেয়ে বড়, উজ্জ্বল অবস্থায় দেখা মিলবে 'মহাকাশের লাল লণ্ঠন' মঙ্গলকে। এর দিন তিনেকের মধ্যে ১৮ জানুয়ারি পাশাপাশি দেখা যাবে শুক্র ও শনিকে। তবে বছরের শুরুতে অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি। সেই দৃশ্য দেখতেও মুখিয়ে থাকবেন মহাকাশপ্রেমীরা। তবে তা সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে উত্তর আমেরিকা থেকে।