সুকুমার সরকার, ঢাকা: ইদের আনন্দ বদলে গেল বিষাদে। ঢাকার বুড়িগঙ্গায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে শিশু-সহ মৃত্যু হল ১১ জনের। বৃহস্পতিবার বিকালে সকলেই ইদ পালন করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু উৎসব উদযাপন করা আর হল না তাঁদের। এই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গঠন করা হয়েছে বিশেষ কমিটি।
জানা গিয়েছে, এদিন বিকালে সকলে প্রিয়জনের সঙ্গে ইদ পালন করার জন্য বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলেন। রাজধানী ঢাকার বুড়িগঙ্গার সদরঘাটে নোঙ্গর করা একটি লঞ্চে উঠেছিলেন। সেই সময় অন্য একটি লঞ্চ ধাক্কা মারে তাঁদের লঞ্চে। প্রত্যেকেই গুরুতর আহত হন। তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত যাত্রীদের মধ্যে একটি মহিলা ও একটি শিশু রয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাড়ম্বরে উদযাপিত ইদ, খুশির দিনে হাসিনাকে শুভেচ্ছা মোদির]
নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আশিক সাঈদ পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সদরঘাট নৌ-পুলিশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম জানান, এক লঞ্চের ধাক্কায় আরেক লঞ্চের পাঁচজন যাত্রী মারা গিয়েছেন। এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস অবশ্য জানিয়েছে, সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামের দুটি লঞ্চ দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ পন্টুনে ঢোকানোর সময় তাশরিফ-৪ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে যায়। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এনিয়ে ঢাকা নদী বন্দর (সদরঘাট) এর যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সদরঘাট কাণ্ডে নিহতদের মরদেহ ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে রাখা আছে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।