সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাইসিনা হিলসে সন্দেশখালির 'নির্যাতিতা'রা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দরবারে সন্দেশখালির ১১ জন বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা এবং বাকিরা পুরুষ। রাষ্ট্রপতি কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। 'ভয়াবহ অভিজ্ঞতা'র কথা শুনে দুঃখপ্রকাশ করেন মুর্মু। এর আগে বারাসতের সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন সন্দেশখালির বেশ কয়েকজন মহিলা। নারী দিবসের আগে মমতার সভামঞ্চেও দেখা গিয়েছে সন্দেশখালির মহিলাকে।
সেন্টার ফর এসসি/এসটি সাপোর্ট অ্যান্ড রিসার্চের ডিরেক্টর ডঃ পার্থ বিশ্বাসের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) কাছে যান সন্দেশখালির বাসিন্দারা। পার্থ জানান, "সন্দেশখালির মোট ১১ জন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন মহিলা এবং ৬ জন পুরুষ। সরাসরি নির্যাতিতদের মুখ থেকেই যাতে রাষ্ট্রপতি জানতে পারেন, তাই সন্দেশখালির মহিলা এবং নির্যাতিত পুরুষদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে আসি। রাষ্ট্রপতি তাঁদের কথা শুনেছেন। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে দুঃখও প্রকাশ করেছেন। সহানুভূতিও প্রকাশ করেছেন তিনি।"
[আরও পড়ুন: ফের দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে দুর্ঘটনা, কাজের মাঝেই ঝলসে গেলেন ৪ শ্রমিক]
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের হামলায় জখম হন তিন আধিকারিক। ঝরে রক্ত। ভাঙচুর করা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়িতেও। এই ঘটনার পর থেকে বিশাল সাম্রাজ্য ছেড়ে ফেরার হয়ে যান শাহজাহান। এদিকে, ফেরার শাহজাহানকে গ্রেপ্তারির দাবিতে পথে নামেন মহিলারা। জ্বলে ওঠে গ্রামের পর গ্রাম। পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে যায় যে দফায় দফায় ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
বিক্ষোভকারী মহিলাদের দাবি, শাহজাহান ওই এলাকার 'ত্রাস'। বিঘার পর বিঘা জমি ও ভেড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। তেমনই আবার রয়েছে নারী নির্যাতনের অভিযোগও। সন্দেশখালিতে ইডি হামলার প্রায় ৫৫ দিন পর গ্রেপ্তার হন শাহজাহান। গ্রামগুলিতে অশান্তির মাঝে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় এসসি এসটি কমিশনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি যান। রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্টও জমা দেন। এবার রাষ্ট্রপতির দরবারে সন্দেশখালির মহিলারা। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নির্যাতিতাদের সাক্ষাৎ, যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সকলে।