সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবনপাত করেছেন। কিন্তু প্রচারের আলোর বাইরে থেকেই চলে গেলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের গাড়ির চালক তথা ছায়াসঙ্গী। সোমবার ১১৬ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয় কর্নেল নিজামুদ্দিনের।
বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি নেতাজির, জানতেন নেহরু?
তিনি নেতাজির নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজে কর্নেল পদে মিত্র শক্তির সঙ্গে লড়াই করেন। উত্তরপ্রদেশে ১৯০১ সালে জন্ম হয় নিজামুদ্দিনের। তিনি নেতাজির বিশ্বস্তদের মধ্যে একজন ছিলেন বলে জানা যায়। নেতাজির আদর্শকে শিরোধার্য করেই জীবন কাটিয়েছেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য কোনও কিছু করতে পিছপা হননি। কখনও নেতাজির গাড়ির চালক হয়েছেন, তো কখনও প্রয়োজনে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে যাঁরা নিজেদের জীবন বাজি রেখেছিলেন, অথচ ইতিহাসে যাঁদের কথা তেমন করে লেখা থাকে না, তিনিও তাঁদের মধ্যে একজন।
আজ ইহলোক ছেড়ে পরলোকে পাড়ি দিয়েছেন কর্নেল। তাঁর স্মৃতি নিয়ে থেকে গেলেন স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। তাঁর ছেলে জানিয়েছেন, নিজামুদ্দিন ১৯৪২ সালে আজামগড় থেকে পালিয়ে সিঙ্গাপুর চলে যান ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তারপর তিনি নেতাজির অধীনে আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বারাণসীতে ভোটের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজামুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন ও তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছিলেন।
নেতাজির মৃত্যু আজও রহস্যাবৃত। তবে কর্নেলের মতো কয়েকজনের স্মৃতিতে অমলিন ছিলেন তিনি। সদা জাগ্রত ছিল নেতাজির আদর্শ। যা তিনি বরাবর ছড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর উত্তরসূরিদের মধ্যেও। তাঁর প্রয়াণ যেন তাই সেই দীর্ঘ পরম্পরাতেই পূর্ণচ্ছেদ।
নেতাজিই কি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী?
শেষ কিস্তির নেতাজি-ফাইল প্রকাশ
নেতাজি সম্পর্কে বহু তথ্য জানা যাবে নয়া ওয়েবসাইটে
The post প্রয়াত নেতাজির ছায়াসঙ্গী কর্নেল নিজামুদ্দিন appeared first on Sangbad Pratidin.