নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নির্বাচনে উত্তাপ এ রাজ্যে নতুন কিছু নয়। ভোট পূর্ববর্তী বা পরবর্তী রাজনৈতিক অশান্তিতে প্রাণহানি, জখম হওয়ার খবর নিত্যদিনের ব্যাপার। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) বীরভূমের রামপুরহাটে সিপিএম কর্মীকে খুনের ঘটনায় দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। ১০ বছর পর অবশেষে মিলল সুবিচার। রামপুরহাট (Rampurhat) মহকুমা আদালতের বিচারক ১২ জনকে আজীবন কারাবাসের সাজা শোনান। দোষীরা সকলেই তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত।
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাঙামাটি বীরভূম (Birbhum)। দু বছর আগেই বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। জেলায় জেলায় ঘাসফুল শিবির মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল। তবে তখনও বীরভূমের মতো কয়েকটি জেলায় সিপিএমের (CPM) রাজনৈতিক সক্রিয়তা ছিল ভালোই। ভোটের পরদিনই রামপুরহাটের সইপুর গ্রামে আচমকা স্থানীয় সিপিএম কর্মী হুমায়ুন মীরের উপর হামলা হয়। পিটিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। অভিযোগ ওঠে মোট ১৪ জন তৃণমূল (TMC) কর্মীর বিরুদ্ধে। মৃত হুমায়ুনের দিদি জেসমিনা খাতুন তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া।
[আরও পড়ুন: সাক্ষীর পর এবার প্রতিবাদী বজরং, ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ নির্বাচন জিততেই ফেরালেন পদ্মশ্রী]
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলে হুমায়ুন হত্যার বিচার। অভিযুক্ত ১৪ জন – ফুলবাস মীর, লিবাস মীর, মীর মহরম, সেতাব মীর, পিন্টার মীর, আবসোর মীর, আমিরুল মীর, গোলাম মীর, নেকবাস মীর, মিঠুন মীর, সুজন সেখ, জানবার সেখ, নয়ন মীর,মীর মিলন। এর মধ্যে দুই অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। বাকি ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যামামলা চলতে থাকে। চলতি বছরের জুলাই মাসে ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে রামপুরহাট আদালত। আর শুক্রবার তাদের যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনালেন বিচারক।