সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোল্ড ড্রিঙ্ক দেওয়ার নাম করে দোকানের ভিতরে নিয়ে গিয়ে এক ৫ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠল এক ১২ বছরের কিশোরের বিরুদ্ধে। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) খুন্তি জেলায় এমনই এক ঘটনায় শিউরে উঠছেন এলাকার বাসিন্দারা।
ঠিক কী হয়েছিল? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ছোট্ট মেয়েটি কোল্ড ড্রিঙ্ক খাওয়ার বায়না করেছিল। শেষ পর্যন্ত তার মা তাকে বাড়ির কাছের দোকানে কোল্ড ড্রিঙ্ক কিনতে পাঠান। আর তখনই ঘটে বিপত্তি। সেই সময় ওই দোকানে ১২ বছরের কিশোরটিই ছিল। সে মেয়েটিকে ভিতরে ডাকে। তারপর নির্জনতার সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
[আরও পড়ুন: ‘ঘৃণার রাজনীতি বন্ধ হোক’, মোদিকে খোলা চিঠিতে আরজি ১০৮ প্রাক্তন আমলার]
জানা গিয়েছে, বাড়ি ফিরে প্রথমে নির্যাতিতা কাউকে কিছু বলেনি। কিন্তু পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে প্রশ্ন করা হলে তখন সে ঘটনাটি খুলে বলে মা-বাবাকে। এরপরই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। স্বাভাবিক ভাবেই এমন এক ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত কিশোরকে। পুলিশের কাছে সে তার অপরাধ কবুল করেছে। তাকে রাঁচির জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নাবালকদের মধ্যে এই ধরনের অপরাধের প্রবণতা বাড়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে ঝাড়খণ্ডেই ১১ বছরের এক বালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ৬ নাবালকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। নির্যাতিতা বালিকা পাশের গ্রামে একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিল। তার সঙ্গে ছিল দুই বান্ধবী। সেই বিয়েবাড়িতে এক নাচের অনুষ্ঠান চলাকালীন অভিযুক্তদের সঙ্গে তার বচসা বাঁধে। আর সেই বচসার ‘বদলা’ নিতেই তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। পরে নির্যাতিতার বান্ধবীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় তার অভিভাবকরা।