অর্ণব আইচ: কলকাতা শহরে বসেই বিদেশিদের অ্য়াকাউন্ট সাফ! কোথাও গুগল-মাইক্রোসফটের মত বহুজাতিক সংস্থার ক্রেতা পরিষেবার নাম করে তো কোথাও আবার ল্যাপটপ-ডেস্কটপের টেকনিক্যাল সহায়তা করার নাম করে চলত প্রতারণা। নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে তোপসিয়া ও সল্টলেক এলাকা থেকে মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ।
নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে তোপসিয়া এলাকার একটি ফ্ল্যাটে হানা দেয় কলকাতা পুলিশ। সেখান থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনেপ মারফত মার্কিন নাগরিকদের প্রতারণ করত বলে অভিযোগ। আমেরিকার একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে মার্কিন নাগরিকদের ফোন করত তারা। তথ্যপ্রযুক্তিগত সাহায্য করার নামে ল্য়াপটপ ও ডেস্কটপের দখল নিত তারা। এরপর মার্কিন নাগরিকদের ব্য়াংকের তথ্য হাতিয়ে অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিত জালিয়াতরা। এই অভিযোগে ৬ জন- সলমন মির্জা (কল সেন্টারের অন্যতম মালিক), আসিফ হোসেন, ইমরান আলি, শেখ সাহিল, আয়ুষ আগরওয়াল এবং জায়েদ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১২টি মোবাইল ও ৪টি ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বকেয়া DA-র দাবিতে মার্চ মাসে ধর্মঘটের ডাক দিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা]
অন্যদিকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের এক অফিসে হানা দেয় বিধাননগর পুলিশ। ১২০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটে বলে মাইক্রোসফট, গুগলের কাস্টমার কেয়ারের কর্মী পরিচয় দিয়ে চলত প্রতারণা। ভুয়ো কলসেন্টার চালানোর অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৫টি কম্পিউটার, ১৪টি স্মার্টফোন, পাঁচটি হার্ড ডিস্ক-সহ আরও বেশ কিছু জিনিস। ধৃতরা হল, ফারুক মোল্লা, আজাদ আলি, হাফিজুর, জ্যোতির্ময় হালদার, অভিষেক শ, অবিনাশ প্রসাদ, কমলেশ ঝা, অনন্ত রায়, দেবজ্যোতি রায়, দীপক পান্ডে, সুমিত কুমার। অভিযোগ, ২০২০ সাল থেকে এই প্রতারণা চক্রের জালিয়াতি চলছিল। তাদের টার্গেট ছিল আমেরিকা, স্পেন, ফ্রান্সের বাসিন্দারা।