সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার-বিরোধী আন্দোলনে উত্তেজনা তুঙ্গে পেরুতে (Peru)। পুলিশ ও নিরাপত্তবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক দিনেই প্রাণ গিয়েছে অন্তত ১৭ জনের। সব মিলিয়ে এই বিক্ষোভে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯ জন। এই পরিস্থিতিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে।
প্রধানমন্ত্রী আলবের্তো ওটারোলা ঘোষণা করেছেন, আগামী তিন দিন সন্ধে ৮টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে ওই এলাকায়। সোমবারই দেশের মানবাধিকার দপ্তরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এখনও পর্যন্ত এই আন্দোলনে সবথেকে বেশি মৃত্যুর ঘটনা এদিনই ঘটেছে। দক্ষিণ পেরুর পুনো অঞ্চলের তিতিকাকা লেকের পাড়ে অবস্থিত শহর জুলিয়াকায় সংঘর্ষ বাঁধলে আহত হন ৬৮ জন। মারা যান ১৭ জন। নিহতদের দু’জন কিশোর।
[আরও পড়ুন: জার্মান বিদেশমন্ত্রীর আচমকা ইউক্রেন সফরের পরই খারকভে প্রবল বোমাবর্ষণ রুশ বাহিনীর]
কী নিয়ে আন্দোলন? আসলে বিক্ষোভকারীদের দাবি, সময়ের আগেই নির্বাচন হোক দেশে। পাশাপাশি কারাবন্দি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে মুক্তি দিতে হবে। তাঁদের দাবি, গত ডিসেম্বরে অনৈতিক ভাবে কংগ্রেস মুলতুবির অভিযোগ আনা হয়েছিল পেদ্রোর বিরুদ্ধে। এরপর তাঁকে কারাবন্দিও করা হয়। এই মুহূর্তে দেশের প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তে। তিনি কিন্তু জানিয়ে দিয়েছেন কারাবন্দি প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে এখনই ছাড়া হবে না। সরাসরি না বলেও তিনি জানিয়েছেন, সময়ের আগে নির্বাচনের কথা ভাবছে সরকার। কিন্তু সব দাবি মানা অসম্ভব।
এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার আপাতত পেদ্রোকে গরাদের পিছনেই রাখতে চাইছে পেরু সরকার। সব মিলিয়ে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে পেরুতে। গত এক মাস ধরেই ওখানে আন্দোলন তীব্র হয়েছে। এদিনের ঘটনার পর সেই তীব্রতা আরও বাড়ার সম্ভাবনা।