সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল অসমের (Assam) নওগাঁ জেলা। একটি বা দুটি নয়, একসঙ্গে ১৮টি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হল সেখানকার কান্দোলি প্রোপোজড রিজার্ভ ফরেস্টে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সম্প্রতি ওই এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় বাজ পড়েই মৃত্যু হয়েছে ওই হাতিগুলির।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং বন দপ্তরের আধিকারিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জঙ্গলের ভিতরে হাতিদের মৃতদেহগুলি প্রথমে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। একসঙ্গে এতগুলি হাতির মৃতদেহ দেখে দ্রুত বন দপ্তরের আধিকারিকদের খবর দেন তাঁরাই। এরপর ঘটনাস্থলে অবাক হয়ে যান আধিকারিকরাও। তড়িঘড়ি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। হাতিগুলির মৃতদেহকে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। খবর পৌঁছায় রাজ্যের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কাছেও। বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। বন দপ্তর সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে বজ্রপাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই হাতিগুলির। তবে দেহগুলির ময়না তদন্তের পরই সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলা যাবে।
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় খোঁজ মিলল ভাল্লুকের ‘ডেরা’র! উৎসাহী বনকর্মীরা]
এই প্রসঙ্গে বনদপ্তরের প্রিন্সিপ্যাল চিফ কনসার্ভেটর অমিত সহায় জানান, “ওই এলাকাটি খুবই দুর্গম। তার উপর মুষলধারে বৃষ্টি। সবমিলিয়ে আমাদের দল বৃহস্পতিবারই ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সক্ষম হয়। দেখা যায়, দুটি জায়গা মিলিয়ে মোট ১৮টি হাতির মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। ১৪টি একটি পাহাড়ের উপরে। আর ৪টি পাহাড়ের নিচে।” পরবর্তীতে সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক। বজ্রপাতের কারণেই হয়তো হাতিগুলির মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পরই আসল কারণ সামনে আসবে। আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাব।” তবে অনেকেই আবার এই ঘটনার পিছনে চোরাশিকারীদের হাত থাকার সম্ভাবনা দেখছেন।