shono
Advertisement

এবার পরোটা খেলেও দিতে হবে ১৮ শতাংশ GST! ‘ইংরেজরাও এত কর বসায়নি’, তোপ বিরোধীদের

পরোটা খাওয়াটাকে বিলাসিতার মধ্যেই দেখছে গুজরাট সরকার।
Posted: 02:24 PM Oct 14, 2022Updated: 02:24 PM Oct 14, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর পাঁচটা প্যাকেটজাত খাবারের মতো এবার পরোটাতেও বড় অঙ্কের জিএসটি বসাল গুজরাট সরকার। গুজরাটে এখন থেকে ‘রেডি টু ইট’ বা ‘ফ্রোজেন’ পরোটা খেতে হলেও দিতে হবে ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি। গুজরাটের অ্যাপিলেট অথরিটি অফ অ্যাডভান্স রুলিং (AAAR) রেডি-টু-কুক অর্থাৎ ফ্রোজেন পরোটার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি (GST) ধার্য করার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে।

Advertisement

আসলে গুজরাটের জিএসটি কর্তৃপক্ষ মনে করছে, পরোটা সাধারণ রুটির পর্যায়ে পড়ে না। পরোটা যেহেতু ঘি বা মাখন ছাড়া তৈরি করা বা খাওয়া যায় না, তাই এটা পড়ে বিলাসিতার পর্যায়ে। সেকারণেই ‘রেডি টু ইট’ (Ready to Eat) পরোটার ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হচ্ছে। এমনিতেই ‘রেডি টু ইট রুটি’র উপর ৫ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয় গুজরাটে। পরোটা তৈরির সংস্থাগুলি দাবি করছিল, রুটির মতো পরোটার উপরও ৫ শতাংশ জিএসটি লাগু হওয়া উচিত। কিন্তু জিএসটি কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট বলছে, বাড়িতে রেডি টু ইট পরোটা বা প্যাকেটজাত পরোটা কিনে নিয়ে যাওয়াটা বিলাসিতার মধ্যেই পড়ে। তাই এতে ১৮ শতাংশই জিএসটি দিতে হবে।

[আরও পড়ুন: বাড়ছিল ঋণখেলাপির সংখ্যা, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা ঋণ আদায়ে ব্যর্থ ব্যাংক ম্যানেজারের]

গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিরোধীরা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্য, বিজেপি সরকার যে হারে জিএসটি বসাচ্ছে, সেই হারে ইংরেজরাও খাদ্যবস্তুর উপর কর বসাত না। কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) অভিযোগ, আজকের দিনে মুদ্রাস্ফীতির যা পরিস্থিতি তার পুরোটাই সরকারের ভুল নীতি এবং বাড়তি জিএসটি বসানোর জন্য। বস্তুত গুজরাটের এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক সাধারণ মানুষই সমস্যায় পড়বেন। যা দেখে সরব হয়েছে কংগ্রেসও।

[আরও পড়ুন: ট্রেনে আরও কাছাকাছি আগরতলা-কলকাতা, রাষ্ট্রপতির হাত ধরে চালু হল সম্প্রসারিত দুই রেলপথ]

২০১৭ সালে কেন্দ্র সরকার জিএসটি (GST) চালু করেছিল দেশজুড়ে একক করকাঠামো তৈরি করতে। এর জেরে জিনিসের দাম কমবে বলেই দাবি করেছিল মোদি (Narendra Modi) সরকার। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, তার উলটোটা। উত্তরোত্তর বেড়েছে জিনিসের দাম। বিশেষজ্ঞদের মতে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি মেটানো হচ্ছে জিএসটি বাড়িয়ে। তবে সেই পদ্ধতি এতটাই অযৌক্তিকভাবে করা হচ্ছে যে তা সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement