সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তামিলনাড়ুতে মালগাড়ির পিছনে মাইসুরু-দ্বারভাঙ্গা বাগমতী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় অন্তত ১৯ জন আহত। এখনও কোনও প্রাণহানির খবর নেই। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায় এই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয় অন্তত ১৩টি বগি। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় এক্সপ্রেস ট্রেনটির দুটি কামরায় আগুন ধরে যায়। আটকে পড়া যাত্রীদের শনিবার সকালে স্পেশ্যাল ট্রেনে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
দুর্ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ শুরু হয়েছে। ড্রোন ফুটেজ থেকে দেখা যাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলি ছত্রকায় হয়ে পড়ে রয়েছে এলাকায়। এলাকার মানুষের ভিড় দুর্ঘটনার কেন্দ্রজুড়ে।
ঠিক কী হয়েছিল? শুক্রবার মাইসুরু থেকে বিহারের দ্বারভাঙার দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী বাগমতী এক্সপ্রেস। থিরুভাল্লুরের কাছে কাভারাপেট্টাই স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। বাগমতী এক্সপ্রেস গতিতে এসে মালগাড়িকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে আগুন জ্বলে ওঠে। চূড়ান্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তবে রেলের তরফে জানানো হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কামরাগুলির ৯৫ শতাংশ যাত্রীরাই নিরাপদে রয়েছেন। খোদ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, তিনি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনপুত্র উদয়ানিধি স্ট্যালিন স্ট্যানলি মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে আহত যাত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন। সুস্থ যাত্রীদের পরের ট্রেনে তোলার আগে পর্যন্ত জল, খাবার ও অন্যান্য পরিষেবা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে দেওয়া হয়েছে বলেও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক অতীতে এই ধরনের দুর্ঘটনা বার বার ঘটতে দেখা গিয়েছে। ফলে নতুন করে ফের রেল সফরে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। কেন এমনটা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সিগন্যাল সমস্যা নাকি বাগমতী এক্সপ্রেসের অতিরিক্ত গতির ফলে এত বড় দুর্ঘটনা? খতিয়ে দেখছেন রেল আধিকারিকরা।