সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধের (1971 Liberation War) সময়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক ক্রাইম ট্রাইবুনালের (International Crime Tribunal) তরফে তাকে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকার পরে অবশেষে শনিবার গ্রেপ্তার করা হল সেই আবু মুসলিম মহম্মদ আলিকে। ঢাকা থেকে কিছুটা দূরে ডেমরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের (Bangladesh) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব।
বিশেষ সূত্র মারফত মহম্মদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিল র্যাব। তারপরেই তল্লাশি চালিয়ে ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মহম্মদকে। বিবৃতি দিয়ে র্যাবের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মহম্মদ। গাইবাঁধা এলাকায় খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।”
[আরও পড়ুন: ‘দেশে আগুন জ্বলতে দিতে পারি না’, শহরের নামবদল মামলা খারিজ করে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের]
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করার দোষে ইতিমধ্যেই মহম্মদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের সাজা রয়েছে। সেই শাস্তি এড়াতেই দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। আপাতত তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তবে কী শাস্তি দেওয়া হবে মহম্মদকে, সেই নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
দিন দশেক আগেই বাংলাদেশের দুই জায়গায় হানা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দুই অপরাধীকে খুঁজে বের করেছিল বাংলাদেশ পুলিশের (Bangladesh Police) এই বিশেষ দল। এছাড়াও চলতি মাসেই ৭০ বছর বয়সি আবদুল মাজিদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মুক্তিযুদ্ধের সময় নেত্রকণা এলাকায় একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে মাজিদের বিরুদ্ধে। এই তিন অপরাধীই দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।