কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: বাংলাদেশে ক্রমেই সক্রিয় হচ্ছে জেহাদি শক্তি! এমন পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদ থেকে অসম এসটিএফের জালে ২ যুবক। যারা বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিনের সদস্য বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা জাল পাসপোর্ট চক্রের সঙ্গে তারা যুক্ত বলে খবর। বুধবার রাতে বেঙ্গল এসটিএফের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় যৌথ অভিযান চালায় অসম এসটিএফ। ধৃতদের কাছ থেকে নথি ও পেন ড্রাইভ উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হরিহরপাড়া থেকে মহম্মদ আবাস ও মিনারুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ও একটি পেন ড্রাইভ উদ্ধার হয়েছে। তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে মোডাস অপারেন্ডি জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।
বাংলাদেশে হাসিনা পরবর্তী জমানায় ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে জামাত-উল মুজাহিদিন, আনসারুল্লা বাংলা টিম, হিজবুত তাহারির মতো মৌলবাদী শক্তিরা। ইতিমধ্যে ঢাকার ডেল শেতে ছাড়া পেয়েছেন বহু জেহাদি। আলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ড মুকুব হয়েছে। এমনকী, অস্ত্রাগার লুটের মামলায় শাস্তি থেকেও রেহাই পেয়ে জামাত জঙ্গিরা। এমন পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের রাজ্যগুলিতে জেহাদিরা যে ঢোকার চেষ্টা করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, বছর আটেক ধরেই বাংলা ও অসমে সক্রিয় জেএমবি। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে ক্রমাগত মডিউল তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। যাতে প্রয়োজনমাফিক সেই মডিউলগুলিকে সক্রিয় করতে পারে। জামাতের মডিউলের খোঁজে ইতিমধ্যে কলকাতার বুকেও হানা দিয়েছে এনআইএ। গ্রেপ্তার হয়েছে একাধিক সন্দেহভাজন। তাই পড়শি দেশের অশান্ত পরিস্থিতে বাংলা, অসম, মেঘালয়ের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে তৎপরতা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য তদন্তকারী সংস্থাগুলি।
কেন্দ্র-রাজ্যের তদন্তে উঠে এসেছে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা জাল পাসপোর্ট চক্রের হদিশ। জাল পাসপোর্ট চক্রের শিকড়ে পৌঁছতে দেশজুড়ে অভিযান চলছে। এই চক্রের সন্ধানে নেমে অসমের ধুবরি এলাকায় তল্লাশি চালায় অসম এসটিএফ। সেখান থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের সঙ্গে বাংলার জেএমবি মডিউলগুলির সরাসরি যোগ রয়েছে বলে সূত্রের দাবি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই মুর্শিদাবাদের দুজনের খোঁজ মেলে। তার পরই রাতারাতি অভিযান চালায় দুই রাজ্যের এসটিএফ।