অর্ণব আইচ: দিনে-দুপুরে খাস কলকাতার জনবহুল রাস্তায় শ্লীলতাহানির শিকার তরুণী। মঙ্গলবার দুপুরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মৌলালি এলাকা। পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত গ্রেপ্তার হয় দুই অভিযুক্ত।
ঘটনাস্থল মৌলালি এলাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, এজেসি বোস রোড ধরে এক ছাত্রী হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর বসে থাকা দুই যুবক তাঁদের লক্ষ্য করে ক্রমাগত কটুক্তি করতে শুরু করে। তরুণীকে অশ্লীল ইঙ্গিত করার পাশাপাশি ফোন নম্বর চাওয়া হয়। প্রথমে দিনে-দুপুরে এ ধরনের আচরণে কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে মুহূর্তের মধ্যে নিজেদের সামলে নিয়ে উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন তরুণী।
[আরও পড়ুন: ক্লিনিকে লম্বা লাইন নয়, পাড়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকেই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ পাবেন কলকাতাবাসী]
মৌলালির ট্রাফিক পোস্টে গিয়ে গোটা বিষয়টা জানান তিনি। এর পর খবর যায় এন্টালি থানায়। পুলিশ এসে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। তবে ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেটি মুচিপাড়াথানার অন্তর্গত, তাই তাদের মুচিপাড়া থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃত দুজনের নাম শেখ শাহজাদা এবং গৌরব দক্তর।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে মহিলাদের শ্লীলতাহানির খবর মিলেছে। কখনও ফাঁকা রাস্তায় তো কখনও আবার ট্যাক্সির যাত্রীদের শ্লীলতাহানি করেছে চালক। বাদ পড়েনি অ্যাপ ক্যাবও। এবার দিনে দুপুরে জনবহুল রাস্তায় তরুণীদের শ্লীলতাহানির খবর নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে এদিন পুলিশের তৎপর ভূমিকা আশ্বস্ত করেছে কলকাতাবাসীকে।
[আরও পড়ুন:বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে প্রেমের মাশুল! নলহাটিতে প্রেমিকের গুলিতে মৃত্যু কলেজ ছাত্রীর]
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে এক মূক ও বধির তরুণীকে ট্যাক্সিতে তুলে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, গত ২৫ জানুয়ারি রাত আটটা নাগাদ কারখানা থেকে বের হয়ে বাইপাসের রাস্তা ধরে হাঁটছিলেন তিনি। সেই সময় ট্যাক্সি নিয়ে কামরে আলম সামনে চলে আসে। গাড়ি থামিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে থাকে। কিন্তু, মূক ও বধির তরুণী সেভাবে সেই কথা উত্তর দিতে পারছিলেন না। পুলিশকে তরুণী জানান, আচমকা কামরে তাঁকে জোর করে ট্যাক্সিতে তুলে নেয়। তাঁকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ট্যাক্সির ভিতরেই ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ, তরুণীর কাছে থাকা ৫ হাজার টাকাও নিয়ে নেয় ট্যাক্সিচালক। এরপর তরুণীকে বাইপাসের ধারে এক জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়। কোনও মতে হেঁটে পার্ক সার্কাস স্টেশনে যান তরুণী।