সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্ম থেকেই দু’চোখে ছিল ছানি। প্রায় দেখতেই পারত না দু’মাসের শিশুটি। অবিলম্বে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল। কঠিন কাজ, কিন্তু চ্যালেঞ্জ নিয়ে তাকে সুস্থ করলেন অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. দেবব্রত হালদার (Dr. Debabrata Halder)। প্রখ্যাত চিকিৎসক ও তাঁর টিমের তৎপরতাতেই দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেল একরত্তি।
জুলাই মাসের শুরুতেই শিশুটিকে অ্যাপোলো হাসপাতালে (Apollo Multispeciality Hospitals) দু’মাসের শিশুটিকে আনা হয়েছিল। হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অপথ্যালমোলজিস্ট (পেডিয়াট্রিক) দেবব্রত হালদার পরীক্ষা করে দেখেন, তার দু’টি চোখই কনজেনিটাল টোটাল ক্যাটার্যাক্টে (Congenital total cataract) আক্রান্ত। অর্থাৎ জন্ম থেকেই শিশুটির চোখে ছানি রয়েছে। সাধারণত এমন ক্ষেত্রে তিন বা চার বছর বয়সে শিশুদের অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে বেশি দেরি করলে শিশুটির চোখের ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। সেই কারণেই অস্ত্রোপচারের চ্যালেঞ্জ নেন ডা. দেবব্রত হালদার ও তাঁর টিমের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: বিতর্কের আবহেই বিধানসভায় PAC বৈঠক, মুকুল-শুভেন্দুর মুখোমুখি হওয়া নিয়ে জল্পনা]
শিশুটির শরীরে পায়ু, মলদ্বার আর মূত্রনালির সংযোগকারী ফিসচুলার অনুপস্থিতি এবং হৃদযন্ত্রের কিছু সমস্যার কারণে অ্যানাস্থেশিয়াও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে তা নির্বিঘ্নেই হয়েছে। ডা. দেবব্রত হালদার বলেন, “আমরা সময়ের সঙ্গে দৌড়চ্ছিলাম। যদি অস্ত্রোপচারে দেরি করতাম, তাহলে ভিজুয়াল ফিক্সেশনের (একটা নির্দিষ্ট দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকার ক্ষমতা) গ্রোথ ক্ষতিগ্রস্ত হত। সাধারণত আট থেকে দশ সপ্তাহের মধ্যে এই ক্ষমতাটা তৈরি হয় এবং সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়টা পেরিয়ে যেত। কিন্তু যে প্রোসিডিওর হয়েছে তার ফলে শিশুটি এবার ভাল দৃষ্টিশক্তি পাবে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে।”
প্রায় এক ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের ফলে শিশুর দু’টি চোখই ছানিমুক্ত হয়েছে। তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রুপের ইস্টার্ন রিজিয়নের CEO রাণা দাশগুপ্ত বলেন, ” যুগান্তকারী কাজ করেই চলেছে অ্যাপোলো হসপিটালস। আমাদের চিকিৎসকরা স্টেট-অফ-দি-আর্ট প্রযুক্তির সাহায্যে দু’মাসের শিশুটির এই বিরল অস্ত্রোপচার করে নজির সৃষ্টি করেছেন। শিশুটি এখন নিজের চোখে গোটা পৃথিবী দেখতে পাবে।”