শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রিহ্যাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, আদৌ বৈধ কোনও লাইসেন্সই ছিল না হোমের। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ জনকে। মৃতের পরিবারের দাবি, যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে ওই কিশোরের উপর।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েকমাস আগে। জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ি ফার্ম শহিদগড় পাড়ার বাসিন্দা ময়ূখ গুহ কয়েকমাস ধরে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছিল। এদিকে সামনেই তার মাধ্যমিক পরীক্ষা। ফলে অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সেই কারণে তিনমাস আগে জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ার একটি রিহ্যাবে ভরতি করা হয় ময়ূখকে। সেখানে চিকিৎসা চলছিল তার। প্রায়ই পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন।
[আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব, সভার আগেই ২ নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ-হাতাহাতি, তীব্র উত্তেজনা বর্ধমানে]
বৃহস্পতিবার সকালে ময়ূখকে দেখতে রিহ্যাবে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে গিয়ে দেখতে পান ছেলে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এরপরই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় হোম চত্বরে। পরিবারের অভিযোগ, ময়ূখ যে অসুস্থ ছিল, তা জানানো হয়নি। মৃতের মায়ের দাবি, কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই তাঁর ছেলের এই পরিণতি।
অভিযোগ পাওয়ামাত্রই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। একের পর এক প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, পাণ্ডাপাড়ার ওই রিহ্যাবের কোনও বৈধ লাইসেন্স ছিল না। তাহলে কীভাবে এতদিন ধরে ওই রিহ্যাবটি চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই সেখানকার ২ কর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী খতিয়ে দেখা হচ্ছে, মৃতের উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল কি না। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগের কারণেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে।