রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ঘুর্ণিঝড় যশের (Cyclone Yaas) ধাক্কা থেকে এখনও পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেনি দিঘা। আর তারই মধ্যে দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে নেমে ঘটল বিপত্তি। জনপ্রিয় পর্যটনস্থলে ঘুরতে গিয়ে সমুদ্রের জলে তলিয়ে গেলেন দুই বন্ধু। ইতিমধ্যেই দেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম নুর মহম্মদ মিদ্দা এবং মইদুল নস্কর। দু’জনেই হাওড়ার লিলুয়ার একটি গ্রামের বাসিন্দা। কড়া বাধানিষেধের মধ্যেই দিঘা (Digha) ঘুরতে গিয়েছিলেন চার বন্ধু। গতকাল, সোমবার সিহক গোলা ঘাটের সমুদ্রে নেমে স্নানের পরিকল্পনা করেন তাঁরা। সেই মতো হোটেল থেকে পৌঁছে যান সৈকতে। তাঁদের সমুদ্রে নামতে দেখে নুলিয়ারা সতর্ক করেন। তাঁদের ‘কীর্তি’ দেখে বারণ করে পুলিশও। কিন্তু সেসব কিছুই কানে তোলেননি তাঁরা। পুলিশ আর নুলিয়াদের চোখ এড়িয়েই সাগরে নেমে পড়েন দুই বন্ধু। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
[আরও পড়ুন: এবার স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন ব্যাংক কর্মীরা! কী বলছে রেল?]
নুর ও মইদুলকে কোনওভাবেই রক্ষা করতে পারেননি বাকি দুই বন্ধু। পুলিশ ও নুলিয়াদের তৎপরতায় দু’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে মৃতদের পরিবারকেও। দিঘা ঘুরতে যাওয়া দুই বন্ধুর এহেন পরিণতির কথা জানার পরই শোকস্তব্ধ বাড়ির লোকজন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় যশ বা ইয়াস এবং ভরা কোটালে তছনছ হয়ে যায় পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভয়ংকর চেহারা নেয় দিঘার সমুদ্র। ৩০ ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ে সৈকতে। বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সাধারণ মানুষের। তারই মধ্যে দিঘার সৈকতের কাছাকাছি একাধিক হোটেল বেআইনি ভাবেই গজিয়ে উঠেছে। যেখানে কম খরচে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর সেই প্রলোভনেই নতুন করে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। আর যশ পরবর্তী দিঘা ভ্রমণে গিয়ে নিষেধাজ্ঞা না মেনেই করুণ পরিণতি হল দুই বন্ধুর।