সৌরভ মাজি, বর্ধমান: উত্তর ভারত ভ্রমণে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল পূর্ব বর্ধমানের পর্যটকদের একটি দল। জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই পর্যটকের। জখম হয়েছেন আরও ২৪ জন।
মৃতরা হলেন খণ্ডঘোষের তোড়কোণা গ্রামের মালতি কুণ্ডু (৫৭) ও গলসি থানার ইরকোনা গ্রামের স্মৃতিকা হাজরা (৫৭)। শুক্রবার বিমানে মৃতদেহ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শনিবার মৃতদেহ বাড়িতে আসতে পারে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনায় শোকের চায়া তোড়কোণা ও ইরকোনা গ্রামে।
[আরও পড়ুন: ‘আমি নির্দোষ, ফাঁসানো হচ্ছে’, আদালতে দাবি বগটুই কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুলের]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ মার্চ খণ্ডঘোষ থেকে পর্যটকদের নিয়ে একটি বাস উত্তর ভারত (North India) ভ্রমণে রওনা হয়। ৬০ জনেরও বেশি পর্যটক ছিলেন এই দলে। খণ্ডঘোষ, গলসি-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা ওই বাসে ঘুরতে গিয়েছেন। বিহার, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে গত মঙ্গলবার পর্যটকদের দলটি শ্রীনগরে পৌঁছয়। পরদিন শ্রীনগরে ‘সাইট সিন’ করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারও স্থানীয় সৌন্দর্য দেখতে বেরিয়েছিলেন পর্যটকদের অনেকে। সেখানকার দুটি বড় গাড়ি (ট্রাভেলার) নিয়ে ঘুরছিলেন পর্যটকরা। সোনমার্গ থেকে ফেরার পথে শ্রীনগর-লেহ হাইওয়েতে গন্দারবাল জেলার কুরআন এলাকায় পর্যটকদের গাড়িটি ‘স্কিড’ করে উলটে যায়। গাড়ির সকল যাত্রীই জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ, সেনা- সকলে মিলে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। সেখানেই দুই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মালতি দেবীর ছেলে সুভাষ কুণ্ডু এদিন তোড়কোণার বাড়িতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কোনওক্রমে বলেন, “বাবা হোটেলে ছিলেন। মা অন্যদের সঙ্গে সোনমার্গ গিয়েছিলেন। ফেরার পথে দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গিয়েছে।” স্মৃতিকার আত্মীয় চণ্ডীপদ হাজরা বলেন, “এদিন সকালে ভাইপো ফোন করে খবর দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনা ঘটে। ভাইপোর জ্ঞান ছিল না। সকালে জ্ঞান ফিরলে জানতে পারে স্মৃতিকা মারা গিয়েছে। ওই আমাদের খবর দিয়েছে। খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল দত্ত বলেন, “বিমানে দেহ আনার ব্যবস্থা হয়েছে। পরিবারের পাশে রয়েছি আমরা।”