অর্ণব আইচ: কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের ভিতর অক্সিজেন ফ্লো-মিটারের কালোবাজারির অভিযোগে ধৃত ২ যুবক। তাদের কাছ থেকে ২ টো ফ্লো-মিটার বাজেয়াপ্ত করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। আজ অর্থাৎ শুক্রবারই ধৃতদের আদালতে পেশ করা হবে।
করোনা (CoronaVirus) পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সব থেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে অক্সিজেন। এরাজ্যেও অক্সিজেনের অভাব দেখা দিচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টায় রাজ্য সরকার। তবে অক্সিজেন ছাড়াও সমস্যা রয়েছে ফ্লো মিটারের। কলকাতারই একটি হাসপাতালে ফ্লো মিটার না থাকায় দুই রোগীর মৃত্যু অভিযোগও ওঠে। এই পরিস্থিতিতে ফ্লো মিটারের কালোবাজারির অভিযোগ তুলে ১৩ মে যাদবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল অশোককুমার ভদ্র। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, কলা বাগানের বাসিন্দা প্রিন্স হালদার ও সোনারপুরের জানকিনাথ বসু রোডের বাসিন্দা বাপ্পা রাউত নামে ২ যুবক কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে ফ্লো-মিটারের কালোবাজারি করছেন। অশোকবাবু জানান, অভিযুক্তরা ওই হাসপাতালে ভরতি রোগীদের পরিবারের সদস্যদের কাছে চড়া দামে ফ্লো মিটার বিক্রির চেষ্টা করছেন। যা ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়, ন’হাজার টাকায় তা বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: কোভিডের থাবাতেও থমকে নেই কাজ, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর টানেল খোঁড়া শেষ হবে চলতি সপ্তাহেই]
অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কয়েকঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাদের থেকে ২ টি ফ্লো মিটার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ধৃত যুবকেরা পেশায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক। মূলত কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের অ্যাম্বুল্যান্স চালাতেন তারা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই অসাধু ব্যবসার ফাঁদ পেতেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।