অর্ণব আইচ: কোকেন কাণ্ডে পুলিশের জালে আরও ২ জন। ধৃত ফারহান আখতার ও দাইম আখতারই কোকেন সরবরাহ করত রাকেশ সিং (Rakesh Singh) ও তাঁর ঘনিষ্ঠদেরও। জানা গিয়েছে, ধৃত সুইটিকে জেরা করেই এই ২ যুবকের হদিশ পেয়েছে তদন্তকারীরা।
সোমবার কোকেন কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সুইটি সিং নামে এক যুবতীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। জানা গিয়েছিল, রাকেশের নির্দেশে ধৃত লাস্যময়ীই পামেলার গাড়িতে রাখার জন্য মাদক কিনেছিল। প্রতি গ্রাম মাদকের দাম ছিল সাড়ে ৯ হাজার টাকা। সুইটিকে গ্রেপ্তারির পরই তদন্তকারীরা জানিয়েছিল ধৃতের কাছ থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে। সূত্রের খবর, সুইটিকে জেরা করেই ফারহান আখতার ও দাউম আখতারের হদিশ পায় পুলিশ। জানতে পারেন, এই দুই যুবকই রাকেশ ঘনিষ্ঠ সুইটিকে কোকেন সরবরাহ করত। এরপরই অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০ গ্রাম কোকেন। জানা গিয়েছে, ধৃতরা কলকাতারই বাসিন্দা।
[আরও পড়ুন: ‘দমকলের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামই নেই’, স্ট্র্যান্ড রোড অগ্নিকাণ্ডে ধনকড়ের নিশানায় রাজ্য]
গ্রেপ্তারির পর বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী (Pamela Goswami) বারবার দাবি করেছিলেন তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। প্রথম থেকেই তাঁর অভিযোগের তির ছিল বিজেপি নেতা রাকেশ সিং ও পুলিশের দিকে। ধৃত বিজেপি নেত্রী বারবার দাবি করেছিলেন গ্রেপ্তারির দিন গাড়িতে থাকা অমৃত নামের এক যুবক তাঁর ব্যাগে কোকেন রেখেছিলেন। এবং রাকেশ সিংয়ের নির্দেশেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। পামেলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপরই সূরয নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আরিয়ান দেব সিং নামে রাকেশ ঘনিষ্ঠ আরও এক যুবককে। জানা গিয়েছে, এই যুবকই পুলিশকে জানিয়েছিল যে নিউ আলিপুরের কোন জায়গায় রয়েছে পামেলা এবং তাঁর কাছে কোকেন রয়েছে। রাকেশের নির্দেশেই এই কাজ করেছিল ধৃত। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০ জনকে।