অর্ণব আইচ: রাজাবাজারের (Raja Bazar) ব্যবসায়ী খুনের কিনারা করল পুলিশ। বিহারের (Bihar) জামুই থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। ধৃতদের নাম রাকেশ দাস ও মণীশ দাস ওরফে বিট্টু। ঠিক কী কারণে এই খুন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার বিকেলে। ওইদিন রাজাবাজারে কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটে নিজের অফিসে বসেছিলেন প্রোমোটার দীপক দাস। তখনই রাকেশ ও বিট্টু নামে দুজনের বিরুদ্ধে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। একটি গুলি ফসকে গেলে অন্যটি দীপকের মাথায় লাগে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, উত্তর ২৪ পরগনায় পোলট্রির ব্যবসা ছিল দীপকের। তখনই রাকেশ দীপকের পোলট্রিতে কাজ করত। দিনে ৫০০ টাকা করে পেত সে। রাকেশের কিছু জমানো টাকা ছিল। দীপক রাকেশের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন প্রয়োজনে। এদিকে, দিনে ৫০০ টাকায় রাকেশের চলত না বলে মাঝেমধ্যেই মুরগি চুরি করে বিক্রি করে দিত সে। ক্রমে দীপক বিষয়টি জানতে পারেন। রাকেশ ও দীপকের মধ্যে গোলমাল হয়। দীপক রাকেশকে পোলট্রি থেকে বের করে দেন। রাকেশ হুগলির কোন্নগরে গিয়ে পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করে। যদিও সে আসলে বিহারের জামুইয়ের বাসিন্দা।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির রক্ত-মাংস, এঁদের বাদ দিয়ে বিজেপি নয়’, পরোক্ষে বিক্ষুব্ধদের সমর্থন শমীক ভট্টাচার্যর]
পোলট্রি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই সে দীপকের কাছে পাওনা টাকা চাইতে শুরু করে। দীপক ওই টাকা দিতে রাজি হননি। তা নিয়ে শুরু হয় গোলমাল। একাধিকবার রাকেশ দীপককে হুমকি দেয়। বুধবার টাকা চাইতে রাকেশ অফিসটিতে আসে। টাকা চাইতেই শুরু হয় গোলমাল ও হাতাহাতি। যদিও পুলিশের ধারণা, খুন করার প্রস্তুতি নিয়েই সে ও বিট্টু ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এরপরই পলাতক দুজনের খোঁজে বিহার ও কলকাতার আশপাশে বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
অভিযুক্তরা ভেবেছিল, বিহারে গা ঢাকা দিতে পারলেই পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সেই মতো শিয়ালদহ থেকে টিকিট কেটে বিহারে পালিয়ে যায়। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। শিয়ালদহ থেকে কাটা টিকিটের ভিত্তিতেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল রাকেশ দাস ও মণীশ দাস ওরফে বিট্টু।