সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহব্যাপী অধিবেশন শেষে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং। নিজের ভাষণে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন তাইওয়ান দখলে শক্তিপ্রয়োগ করা হবে না, এমন কোনও প্রতিশ্রুতি তিনি দিতে পারবেন না। জিনপিংয়ের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে গত বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ের কাছে আগ্রাসী ভাবে উড়তে দেখা যায় লালফৈাজের ২০টি যুদ্ধবিমানকে। শুধু তাই নয়, আগ্রাসনের চেষ্টা করতে দেখা যায় লালফৌজের তিনটি রণতরীকে।
দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষামন্ত্রককে উদ্ধৃত করে ‘তাইওয়ান নিউজ’ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা বলয়ের কাছে আগ্রাসী ভাবে উড়তে দেখা যায় লালফৈাজের ২০টি যুদ্ধবিমানকে। শুধু তাই নয়, আগ্রাসনের চেষ্টা করতে দেখা যায় লালফৌজের তিনটি রণতরীকে। চিনা ফৌজের এহেন আগ্রাসনের জবাবে পালটা যুদ্ধবিমান ও রণতরী পাঠায় তাইওয়ানের সেনা। মোতায়েন করা হয়, মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমগুলিকেও।
[আরও পড়ুন: ভ্যান গঘের পর ক্লদ মনের ছবিতে হামলা জার্মানির পরিবেশকর্মীদের, ছোঁড়া হল পচা আলু]
এর আগে গত আগস্ট মাসে তাইওয়ানের (Taiwan) ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়েছিল চিনের ৫১টি যুদ্ধবিমান। এরমধ্যে ছিল ২৫টি ফাইটার বোম্বার জেট, এইচ-৬ বোমারু বিমান, সুখোই-৩০, ইলেক্ট্রোনিক ওয়ারফেয়ার, সাবমেরিন ধ্বংসী ও ট্যাঙ্কার বিমান। পালটা নিজেদের যুদ্ধবিমান পাঠায় তাইওয়ান। শুধু তাই নয়, স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়ে ছ’টি চিনা রণতরীও। একইসঙ্গে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমগুলির উদ্দেশেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয় বলে জানিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষামন্ত্রক। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে চিনের এহেন আগ্রাসন কি ভবিষ্যতে হামলার ইঙ্গিত? উঠছে এমন প্রশ্নই।
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) ক্ষমতায় ফিরে আসা তাইওয়ানের জন্য অশনি সংকেত। কারণ, এই পদক্ষেপই স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, ভবিষ্যতে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিয়ে বড়সড় কোনও পরিকল্পনা করছেন জিনপিং। ফলে আরও একটা যুদ্ধ ঘটে যাওয়া অসম্ভব নয়। আপাতত ঘুঁটি সাজাচ্ছেন তিনি। দল ও সেনার অন্দরে দুর্নীতি দমনের নামে বিরোধের কোণঠাসা করে ফেলেছেন জিনপিং। তাই তাঁর নীল নকশায় বাধা দেওয়ার মতো কেউ নেই।