সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণকাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী বছরের গোড়াতেই আমজনতার জন্য রামমন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মন্দির নির্মাণের শেষ পর্যায়ের কাজ। কবে থেকে ভক্তদের জন্য মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়া হবে, সেটা এখনও স্থির হয়নি। তবে মন্দিরের ভিতর ভক্তদের জন্য কড়া নিয়ম জারি হচ্ছে। ভক্তরা মন্দিরের ভিতরে কতক্ষণ থাকতে পারবেন, কতটা দূর থেকে রামলালার দর্শন করা যাবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রামমন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র।
রামমন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র জানান, রামমন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তরা প্রায় ১ ঘণ্টা থাকতে পারবেন। তবে রামলালার দর্শনের জন্য বরাদ্দ মাত্র ২০ সেকেন্ড। লাইন দিয়ে রামলালার দর্শন সেরে গেটের দিকে এগিয়ে যেতে হবে ভক্তদের। ভিড় এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে। তবে রামলালার দর্শনের জন্য বরাদ্দ সময় ২০ সেকেন্ড হলেও ভক্তরা মন্দির প্রাঙ্গণে ১ ঘণ্টা থাকতে পারবেন। নৃপেন্দ্র মিশ্র জানান, ৭১ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত রামমন্দির প্রাঙ্গণ বিশাল বড়। মন্দিরের গেট থেকে রামলালার গর্ভগৃহ পর্যন্ত ঢুকতে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লাগবে। তাই ভক্তরা মন্দির প্রাঙ্গণে প্রায় ১ ঘণ্টা থাকতে পারবেন।
কী কী সামগ্রী দিয়ে মন্দির তৈরি হচ্ছে সে ব্যাপারেও আলোকপাত করেছেন রামমন্দির নির্মাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। তিনি জানান, প্রাচীন মন্দিরগুলির মতো অযোধ্যায় নির্মীয়মাণ রামমন্দিরে ইস্পাতের রড ব্যবহার করা হয়নি। ব্যবহার করা হয়নি সাধারণ সিমেন্টও। পাথরের উপর পাথর বসিয়ে তৈরি হচ্ছে মন্দির।
[আরও পড়ুন: নিগৃহীত মুসলিম ছাত্রের পরিচয় প্রকাশ্যে কেন, FIR ‘ফ্যাক্ট চেকার’ মহম্মদ জুবেইরের বিরুদ্ধে]
তিনি বলেন, মন্দিরের নিচে থাকা পিলারের চারপাশে যে মাটি ফেলা হয় ২৮ দিনের মধ্যে তা পাথরে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ পাথরের পিলার পাথর দিয়েই ঘেরা আছে মাটির নিচে। এর ফলে মন্দিরের ভিত অনেক মজবুত হয়েছে। দেশের সেরা ইঞ্জিনিয়াররা এই কাজে যুক্ত। যেমন মন্দিরের গঠনশৈলী তৈরি করেছেন খড়গপুর আইআইটির ইঞ্জিনিয়াররা। পিলার-সহ মন্দিরের নির্মাণকাজের তদারকি করছেন আইআইটি চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার ও প্রযুক্তিবিদরা। আর মন্দিরকে ভূমিকম্প-সহ যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সইয়ে নেওয়ার মতো করে গড়ে নেওয়ার কাজটি করছে সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট।