সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনে নতুন করে হানাদারির ঘটনায় আতঙ্কিত দেশ। মনে পড়ছে দুই দশক আগের সেই শীতের সকালের কথা। সেদিন সংসদ ভবন চত্বরে ঢুকে পড়েছিল সশস্ত্র পাঁচ জঙ্গি। তার পরই গুলির শব্দে কেঁপে উঠেছিল দেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত অঞ্চল! ওই ঘটনায় সংসদ ভবনের নিরাপত্তা রক্ষী-সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নেপথ্যে ভেসে উঠেছিল জইশ জঙ্গি মাসুদ আজহারের নাম। আতঙ্কের আরেক নাম মাসুদ এখন কোথায়?
মাসুদের বয়স এখন ৫৫। সূত্রের খবর, আইএসআইয়ের নেকনজরে বহাল তবিয়তেই আছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা এই জঙ্গি। ভাওয়ালপুরের ডেরায় পাক বাহিনীর প্রহরাতেই থাকে আজহার। ভারত-পাক সীমান্তের জঙ্গি শিবিরগুলো তদারকি করে। ভারতে হামলার ঘটনায় এবং সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশে বিষয়ে আজও সক্রিয় মাসুদ। ছোট ভাই আবদুল রউফ আসগার সংগঠনের গুরু দায়িত্ব রয়েছে। আর এক ভাই জইশের ছাত্র সংগঠন আল মুরাবিতুর মাথা। মাসুদের শ্যালক ইউসুফ আজহার জেহাদি ট্রেনিং ক্যাম্প চালায় বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: সংসদে নিরাপত্তা কোথায়? জবাব দিন অমিত শাহ, সরব তৃণমূল]
লাদেন ও মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ মাসুদ শুধু সংসদ ভবনে হামলার ঘটনাতেই নয়, ভারতে একাধিক নাশকতার ঘটনায় জড়িত। ২০০৫ সালে অযোধ্যা রাম জন্মভূমিতে জঙ্গি হামলা, ২০১৬ সালে পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা ও পুলওয়ামার বিস্ফোরণের নেপথ্যে অন্যতম চক্রী হিসেবেও তার নাম উঠেছে এসেছে। এছাড়া আফগানিস্তানে মাজার ই শরিফে ভারতীয় কনসুলেটে হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল মাসুদ আজহার।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরিদের ‘আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার’ নিয়ে সরব মুসলিম বিশ্ব, ‘অসাধু উদ্দেশ্য’, তোপ ভারতের]
১৯৯৪ সালে শ্রীনগরে গ্রেপ্তার হয়েছিল মাসুদ। প্রথমে শ্রীনগরের বাদামিবাগ ক্যান্টনমেন্ট জেলে পরে তিহাড়ে রাখা হয়েছিল হাই প্রোফাইল জঙ্গিকে। যদিও কান্দাহারে বিমান ছিনতাইয়ের পর মাসুদকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল ভারত। বুধবার নতুন করে সংসদে হানাদারির ঘটনায় ফিরে এল আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ আজহারের প্রসঙ্গ।