অর্ক দে, বর্ধমান: রোজ প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে চা চক্রের মধ্যে দিয়ে জনসংযোগ তাঁর বহু পুরনো অভ্যাস। কলকাতায় হোক কিংবা জেলায়, এই রুটিনে নড়চড় ঘটে না বিশেষ। ভোটের মুখে সেই জনসংযোগ আরও বেড়েছে। একেকদিন একেক জায়গায় প্রভাতী চা চক্রে শামিল হচ্ছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সোমবার সকালে এ কী কাণ্ড! বর্ধমানের জনানদিঘি মোড়ে একটিও চা দোকান খোলাই নেই! ফলে ভেস্তে গেল তাঁর চা চক্র। আর তার জন্য তৃণমূলের ষড়যন্ত্রকে দায়ী করলেন দিলীপ ঘোষ। এনিয়ে অবশ্য তৃণমূলের দাবি, চায়ের দোকান নিয়ে অকারণ রাজনীতি করছেন বিজেপি প্রার্থী।
চব্বিশের লোকসভা ভোটে (2024 Lok Sabha Election) কেন্দ্র বদলে বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থী হয়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নাম ঘোষণার পর থেকেই সেই কেন্দ্রের মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন তিনি। দিনভর প্রচারের বাইরেও তাঁর নিজস্ব স্টাইলে জনসংযোগ করছেন এবং স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন। তাঁর বেলাগাম মন্তব্য নিয়ে খোদ নির্বাচন কমিশন (ECI) সতর্ক করলেও তা থোড়াই কেয়ার দিলীপের! মুখ্যমন্ত্রী হোন কিংবা তৃণমূলের অন্যান্য নেতা, দিলীপ ঘোষের অশালীন বাক্যবাণ থেকে বাদ যাচ্ছেন না কেউ। তবে এবার তিনি চায়ের দোকান বন্ধ নিয়েও দুষলেন তৃণমূলকে (TMC)।
[আরও পড়ুন: আগামী তিন বছরে ৫ লক্ষ নিয়োগ! ভারতের কর্মসংস্থানে বড়সড় পরিকল্পনা অ্যাপেলের]
সোমবার সকালে বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জনানদিঘি মোড়ে চা চক্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিজেপি প্রার্থীর। সেইমতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে দিলীপ ঘোষ সদলবদলে পৌঁছে যান সেখানে। কিন্তু গিয়ে দেখেন, একটি চায়ের দোকানও খোলা নেই। ফলে উপায় না দেখে চা চক্র বাতিল করতে বাধ্যই হলেন তিনি। আর তার জন্য দায়ী করলেন তৃণমূলকে। দিলীপ ঘোষ জানালেন, ''এই যে আজ আমাদের এখানে চা চক্র হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসে দেখছি, সব দোকান বন্ধ। তৃণমূলের গুন্ডারা রাত থেকে দোকানের সবাইকে হুমকি-ধমকি দিয়ে সব দোকান বন্ধ করে রেখেছে। চা না খেলে কাজ করব কী করে?''
[আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়া আউট’ মন্ত্রেই ফের বাজিমাত, পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী চিনপন্থী মুইজ্জু]
তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস এনিয়ে বলেন, ''মানুষ দিলীপ ঘোষকে গ্রহণ করছে না, এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। দিলীপ ঘোষ একের পর এক যেভাবে মন্তব্য করে চলেছে তাতে মানুষ বীতশ্রদ্ধ। প্রচারে বেরিয়ে কখনও হাতে অস্ত্র, কখনও লাঠি নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এর ফলে মানুষ ভয়ে ওঁর থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন, এটাও হতে পারে। এলাকায় চায়ের দোকান খোলা থাকবে কিনা তার দায়িত্ব তৃণমূলের নয়। মানুষ ওঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলেই দোকান বন্ধ রেখেছেন।"