শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: বাংলার ৪২ আসনে প্রার্থী দিতে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বিজেপি (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বকে। রবিবার দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায় ১৯ জনের নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। তাতে রয়েছে রায়গঞ্জ কেন্দ্রও। অনেক টানাপোড়েন, আলোচনা শেষে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিট দেওয়া হয়েছে তরুণ নেতা কার্তিক পালকে। তাঁর আরেকটি পরিচয়, তিনি ‘দলবদলু’ও। জেলাস্তরে যদিও জল্পনা ছিলই তাঁকে নিয়ে। কিন্তু দুই বাঘা প্রার্থীকে টেক্কা দিয়ে লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Election)দিল্লির লড়াইয়ে যে তরুণ নেতা এগিয়ে যাবেন, তা বোধহয় তিনি নিজেও ভাবেননি। তবে নতুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছেন কার্তিক।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্তিক পাল। তিনি তৃণমূলের (TMC)হয়ে প্রাক্তন পুরচেয়ারম্যান ছিলেন। একুশের ভোটের পর ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্মফুল হাতে তুলে নেন। বর্তমানে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) পুরবোর্ডের পাঁচবারের চেয়ারম্যান প্রয়াত কংগ্রেসের অরুণ দে সরকারের এক আত্মীয়াকে বিয়ে করার সূত্রে একসময় কংগ্রেসের পুরবোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
[আরও পড়ুন: আইএসআইয়ের কার্যকলাপ রুখতে কড়া কেন্দ্র, কলকাতায় কমেছে পাক বধূদের আত্মীয়দের যাতায়াত]
তার পর তৃণমূলে যোগ দিয়ে কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান হয়ে শহরের একগুচ্ছ উন্নয়নের কৃতিত্ব অর্জন করেন কার্তিকচন্দ্র পাল। তবে ২০২০ এর ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দিয়েই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত হন। চব্বিশের লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জের প্রার্থী হিসেবে যে তিনজনের নাম ভাসছিল তার মধ্যে অন্যতম এই কার্তিকচন্দ্র পাল। এছাড়া ছিল বিদায়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী ও ভারত সেবাশ্রমের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজের। যদিও প্রথম দিকে কার্তিকচন্দ্র পাল নিজে প্রার্থী হওয়ার জল্পনা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। রবিবার তাতে পাকাপাকি সিলমোহর পড়ার পর অবশ্য তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই কেন্দ্রে কার্তিকের প্রতিপক্ষ বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা কৃষ্ণ কল্যাণী। ফলে এই কেন্দ্রে জমজমাট লড়াই, তা নিশ্চিত।