অর্ণব আইচ: ভোটের (2024 Lok Sabha Election) কাজে ছুটতে হচ্ছে পুলিশকে। তাই কলকাতার বহু থানা ‘রক্ষা’র দায়িত্বে নারী শক্তি। মহিলা পুলিশকর্মীদের থাকতে হচ্ছে থানার ‘সেন্ট্রি’র দায়িত্বে। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে অস্ত্র ছাড়াও পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হচ্ছে থানার গেটের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, থানাগুলি থেকে পুলিশকর্মী ও আধিকারিকদের বাইরে পাঠানো হচ্ছে ভোটের ডিউটিতে। দফায় দফায় বাইরে যেতে হচ্ছে তাঁদের। এ ছাড়াও ভোটের জন্য কলকাতা পুলিশেরও (Kolkata Police) কাজের শেষ নেই। থানাগুলি পরিদর্শন করতে পারেন অবজার্ভাররা। তাই তৈরি থাকতে হচ্ছে পুলিশ আধিকারিকদের।
এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) নির্দেশে সরকারি নির্মাণ থেকে চলছে নির্বাচনী প্রচারের হোর্ডিং সরানোর কাজ। সেই কাজে পুরসভাকে সাহায্য করতে হচ্ছে পুলিশকেই। তার উপর লোকসভা নির্বাচনের (2024 Lok Sabha Election) সময় সকাল-বিকেল প্রার্থীদের মিটিং ও মিছিল, জনসভা। প্রত্যেক জনসভা, পথসভা ও মিছিলে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে পুলিশকে। নিরাপত্তার (Security) জন্য প্রত্যেকটি এলাকায় চলছে পুলিশের টহল। এছাড়া দিন ও রাতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে চলছে নাকা চেকিং। তাই থানাগুলিতে পুলিশকর্মীর সংখ্যা এখন তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। কিন্তু পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম হলেও কোনও থানায় রক্ষী বা সেন্ট্রির জায়গা খালি রাখা যায় না।
[আরও পড়ুন: ‘চাকরি বিক্রির রেট বলেছি,’ অভিজিতের মমতা-ব্যাখ্যায় ‘ঝাঁটা’র দাওয়াই দেবাংশুর]
সাধারণত সেন্ট্রির ডিউটি করতে হয় সশস্ত্র পুলিশকর্মীদের (Armed Police)। কিন্তু পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম থাকার ফলে অনেক থানার ভরসা নারী শক্তিই। বেশ কিছু থানায় সেন্ট্রির জায়গায় দাঁড়িয়ে ডিউটি করতে হচ্ছে মহিলা পুলিশকর্মীদেরই। রীতিমতো পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই দাঁড়িয়ে ডিউটি করছেন তাঁরা। থানায় আসা সাক্ষাৎপ্রার্থীরা তাঁদের কাছ থেকেই জেনে নিচ্ছেন, কী কাজের জন্য কোন জায়গায় যেতে হবে অথবা কোন আধিকারিক থানায় উপস্থিত রয়েছেন বা নেই। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে থানার সেন্ট্রির ডিউটির জায়গায় রাখা হচ্ছে পাখা। সিলিং ফ্যান বসানোর সম্ভাবনা যেখানে নেই, সেখানে থাকছে টেবিল ফ্যানই।
[আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষ জাঁদরেল ‘বিচারপতি’কে তাচ্ছিল্য! কোন অঙ্কে নিজের জয় দেখছেন দেবাংশু?]
আবার পুলিশকর্মীদের থানার আগ্নেয়াস্ত্র (Arms) নিয়েও বাইরে ভোটের ডিউটিতে যেতে হচ্ছে। তাই অনেক থানায় পুলিশকর্মীদের অস্ত্র ছাড়াই সেন্ট্রির ডিউটি করতে হচ্ছে। এদিকে, ট্রাফিক পুলিশের কর্মীদেরও ক্রমে বাইরের ডিউটিতে যেতে হচ্ছে। তাই শহরের ট্রাফিক চলাচলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সেরকমই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।