শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: লোকসভা নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চা জোটে বড়সড় জট। এমনকী ভোট শুরুর আগে-পরেও তা কাটেনি। আসন বণ্টন নিয়ে জটিলতা থেকে শুরু করে হাতে হাত ধরে লড়াই, কোথায় নির্বাচনী কৌশল ঠিক কী হবে, তা নিয়ে জটিলতা বেড়েইছে। পরিস্থিতি এখন এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যে একসময়ের জোটসঙ্গীরাই একে অপরের সমালোচনায় মুখিয়ে। এই যেমন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। রবিবার জঙ্গিপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে নওশাদের কটাক্ষ, ''শুধুমাত্র নিজের সিটটাকে বাঁচাতে জোট ভেস্তে রাজ্যে তৃণমূল-বিজেপির হাত শক্ত করেছে অধীররঞ্জন চৌধুরী।'' চব্বিশের নির্বাচনের আগে যা যথেষ্ট অস্বস্তিকর অধীররঞ্জন চৌধুরীর পক্ষে।
ষষ্ঠবার সাংসদ হওয়ার লক্ষ্যে চব্বিশের লোকসভা ভোটে (2024 Lok Sabha Election) বহরমপুর থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। সেই আসনে তাঁকে সমর্থন করেছে বামফ্রন্ট (Left Front)। নিজের এলাকায় প্রচারে নেমে প্রায়শয়ই বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন অধীর। তার চেয়েও বড় কথা তিনিও বারবার মেজাজ হারাচ্ছেন। বিক্ষোভ দেখানোয় এক যুবককে চড়ই মেরে দিয়েছেন! এনিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। বহরমপুরের (Baharampur) পর নওদাতেও একই ঘটনা ঘটেছে। অধীর চৌধুরীকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ফেল করায় মনখারাপ, CA হওয়ার স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই আত্মঘাতী কসবার ছাত্রী]
এনিয়ে নওশাদ সিদ্দিকির (Nawsad Siddique) বক্তব্য, ''আসলে পরাজয়ের আশঙ্কা করছেন, তাই প্রচারে বেড়িয়ে মেজাজ হারাছেন অধীর।'' তাঁর আরও অভিযোগ, ''শুধুমাত্র নিজের আসন বাঁচাতে জোট ভেস্তে রাজ্যে তৃণমূল-বিজেপির হাত শক্ত করেছে অধীররঞ্জন চৌধুরী।'' উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস আইএসএফকে (ISF) বিশেষ আসন ছাড়েনি। সেই কারণে আইএসএফ নিজের শক্তিতে একাধিক কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে। বহরমপুর থেকেও প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল নওশাদদের। তবে এখনও পর্যন্ত সেই নাম ঘোষণা করেনি। এর পর রবিবার জঙ্গিপুরে দাঁড়িয়ে জোট জটিলতার জন্য ফের অধীর চৌধুরীকে দায়ী করলেন সংযুক্ত মোর্চা জোটের একমাত্র বিধায়ক।