সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল-বামেদের মনোনয়নপত্র দেওয়া ঘিরে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সদর কার্যালয় আলিপুর। স্লোগান, পালটা স্লোগান পরিস্থিতি উত্তপ্ত। দুদলের সদস্যদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা পৌঁছল হাতাহাতিতে। পরিস্থিতিতে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হল পুলিশকে। পরে ব্যারিকেড করে তৃণমূল কর্মীদের সরিয়ে দেয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন দিতে যাচ্ছিলেন যাদবপুরের সিপিএম (CPM) প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য, ডায়মন্ড হারবারের সিপিএম প্রার্থী প্রতীক উর রহমান, দক্ষিণ কলকাতার সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম, মথুরাপুরের সিপিএম প্রার্থী শরৎচন্দ্র হালদার ও জয়নগরের আরএসপি প্রার্থী সমরেন্দ্রনাথ মণ্ডল । সঙ্গে প্রচুর বাম কর্মী, সমর্থক। তাঁরা হাজরা মোড়ের দিকে এগিয়ে যেতেই দেখে সেখানে আগে থেকে উপস্থিত তৃণমূলের (TMC) কর্মীরা। কলকাতা দক্ষিণের (Kolkata Dakshin Lok Sabha) তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় (Mala Roy) ও যাদবপুরের সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) মনোনয়নের জন্য জমা হচ্ছিলেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: হাওড়া স্টেশনে ট্রেন ছাড়তে দেরি কেন? কারণ জানাল রেল]
অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী ও সমর্থকদের দেখে সিপিএমের মিছিল থেকে আগে 'চোর' স্লোগান ওঠে। শুনে উত্তেজিত হয়ে পালটা স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূলের কর্মীরা। মুহূর্তের মধ্যে বদলে যায় পরিস্থিতি। হাতাহাতি শুরু হয় দুদলের সর্মথকদের মধ্যে। কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেন উপস্থিত পুলিশ কর্তারা। বাম প্রার্থীরা ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢুকে গেলে কিছুটা স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। তবে মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে বাম কর্মী, সর্মথকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
[আরও পড়ুন: ‘ফুলকুমারি’ সেজেই মেট গালায়, ‘লাপাতা লেডিজ’-এর নিতাংশিকে দেখে আপ্লুত নেটপাড়া]
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য সকাল ১০টা নাগাদ সময় দেওয়া হয়েছিল প্রার্থীদের। অন্যদিকে, তৃণমূলের মালা রায় এবং সায়নী ঘোষের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ধার্য করা হয়েছিল বেলা ১২টায়। তার আগেই আলিপুর জেলা কার্যালয়ের সামনে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দুদলের কর্মীরা। অভিযোগ উঠছে, দুই যুযুধান পক্ষের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কর্মসূচি আগে থেকে স্থির থাকা সত্ত্বেও এলাকায় যথেষ্ট পুলিশ মোতায়েন ছিল না।