সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরান মদতপুষ্ট হেজবোল্লাকে নিকেশ করতে লেবাননে হামলার ঝাঁজ আরও বাড়াল ইজরায়েল। সোমবার লেবাননের উত্তরাঞ্চলে খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ শহরে এই বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। যার জেরে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে হলে দাবি করেছে সেদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সাধারণত খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলিতে কোনওরকম হামলা চালায় না ইজরায়েল। তবে এই হামলার পর নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, হেজবোল্লার সমস্ত ঘাঁটিতেই এই হামলা চলবে।
হেজবোল্লার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত লেবাননের রাজধানী বেইরুট, দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলগুলি। ইরানের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর মূলত এই অঞ্চলগুলিতেই হামলা জারি রেখেছিল ইজরায়েল। এই সব এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে উত্তরাঞ্চলে বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন সেখানকার মানুষ। তেমনই বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনকে টার্গেট করে এই হামলা চালায় ইজরায়েল। যার জেরে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। ইজরায়েল সেনাবাহিনীর তরফে এই হামলা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য না করলেও, হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, বেইরুট-সহ লেবাননের সেই সব জায়গায় হামলা চলবে যেখানে হেজবোল্লা আস্তানা গেড়েছে।
তবে শুধু লেবানন নয়, গাজার মাটিতেও হামাসের বিরুদ্ধে হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ গাজায় হামলা চালায় ইজরায়েল সেনা। এবার ইহুদি সেনার নিশানায় ছিল সলাহ-আল-দিন মসজিদ। এই হামলার জেরে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত রবিবারও গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির-সহ একাধিক জায়গায় হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল সেনা। সেই হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৪১ জন। মৃতদের মধ্যে ছিল ১৩ শিশুও।
এদিকে, সংঘাত পরিস্থিতিতে ফের ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘বন্ধু’ আমেরিকা। হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নিতে ইহুদি দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। যার বদলা নেওয়ার ‘নীল নকশা’ তৈরি করছে তেল আভিভ। কীভাবে ইরানে আঘাত হানবে তারা তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু এর আগেই রবিবার ইজরায়েলকে টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (THAAD) ব্যাটারি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এটি একটি শক্তিশালী মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। এছাড়া মার্কিন সেনাও পাঠাবেন তিনি। কিন্তু বাইডেনের এই ঘোষণার পরই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ইরান। আমেরিকাকে এই সংঘাতে না জড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান।