দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: চোর সন্দেহে প্রোমোটার খুনের (Promoter Lynching Case) ঘটনার গ্রেপ্তার ৩। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরও দুজনকে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তবে গ্রেপ্তারির আশঙ্কায় গোটা এলাকা কার্যত পুরুষশূন্য। থমথমে বারুইপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
বৃহস্পতিবার রাত একটা নাগাদ বান্ধবী প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে বারুইপুরের বেগমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০০ কলোনির কাছে যান অভীক। গভীর রাতে অচেনা যুবককে দেখতেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। অভিযোগ, অভীক মুখোপাধ্যায়কে দেখে চোর সন্দেহে ঘিরে ধরা হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় যুবককে। ঘটনাস্থলেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন তরুণ প্রোমোটার। পরে তাঁর মৃত্যুও হয়। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর বান্ধবীকে আটক করে রেখেছিল পুলিশ। শুক্রবার মধ্যরাতে তাকে রেহাই দেয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে ভারতের অবস্থানে ‘খুশি’ রাশিয়া, কূটনীতির খেলায় বড় জয় দিল্লির]
সূত্রের খবর, এলাকায় পিটিয়ে খুনের একাধিক প্রমাণ মিলেছে। রাস্তার নর্দমার পাশে ঘাসে রক্তের দাগ মিলেছে। মনে করা হচ্ছে স্থানীয় ৩-৪টির পরিবার এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। সেই পরিবারের ৮-১০ মিলে বাড়ি থেকে লাঠিসোঁটা-রড নিয়ে প্রোমোটার অভীকের উপর চড়াও হয়েছিল বলে খবর। অভিযুক্তরা অধিকাংশই পলাতক। তারা মদ্যপ ছিল কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে অভীক মাঝেমধ্যেই তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে বারুইপুর আসতেন বলে খবর। ঘনিষ্ঠ মহলে অভীক জানিয়েছিলেন, বারুইপুরে বাগানবাড়ি বানাবেন তিনি। তাই জমির খোঁজ করতে যেতেন অভীক। মাঠে বসে বান্ধবীকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে ফিরেও আসতেন। সেদিনও তেমন গিয়েছিলেন। তবে অভীক ও তাঁর বান্ধবী মদ্যপ ছিলেন বলে খবর পুলিশ সূত্রে খবর, অভীক বারুইপুরের অচেনা মুখ ছিলেন না। তার পরেও কেন চোর সন্দেহে তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।